ভাবীকে শ্বাসরোধ করে, ভাতিজাকে ডোবায় ফেলে হত্যা করেন মুক্তা
১৬ মে ২০১৯ ১৪:৫১
নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গায় ঘরের ভেতর মা ও বাড়ির পাশের ডোবায় শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে শারমিন ও তার সন্তান আব্দুল্লাহকে হত্যা করেছেন শারমিনের দেবর মাহাবুল আলম মুক্তা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশ সুপার জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর আটক করা হয় শারমিনের দেবর মুক্তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, পারবারিক বিষয়ে মতবিরোধ ও প্রতিবন্ধী সন্তান আব্দুল্লাহকে নিয়ে দেবর মুক্তার সঙ্গে শারমিনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এর জের ধরে মুক্তা তার ভাবি শারমিনকে ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং দুই বছরের প্রতিবন্ধী ভাতিজা আব্দুল্লাহকে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার একমাত্র আসামি মাহাবুল আলম মুক্তা। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেল আবুল হাসনাত, নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শারমিনের স্বামী মাহামুদুল হাসান মুন্না ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে রাতে শিশু পুত্র আব্দুল্লাহকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন শারমিন। বুধবার (১৫ মে) সকালেও দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ডাকেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেলে জানালা দিয়ে শারমিনের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে শিশু আব্দুলাহর মরদেহ উদ্ধার করে।
সারাবাংলা/এসএমএন