Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এ মাসেই পদ্মাসেতুতে বসছে আরও দুটি স্প্যান


১৬ মে ২০১৯ ১৭:২৪

ঢাকা: চল‌তি মাসে পদ্মাসেতুতে বসছে আরও দু‌টি স্প্যান। আগামী ১৯ মে বসবে সেতুর ১৩তম স্প্যান ও ৩০ মে বসবে ১৪তম স্প্যান। এর ফলে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২১ শ মিটার অংশ। পদ্মাসেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং (এমবিইসি) এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে বাকি থাকছে আরও ২৭টি স্প্যান। সব মিলিয়ে ৪১টি স্প্যান ও ৪২টি পিয়ারে (খুঁটি) তৈরি হবে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্বপ্নের পদ্মাসেতু। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১৩তম স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ১৪ ও ১৫ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে। স্প্যানটি প্রস্তুত অবস্থায় মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৪ ও ১৫ নং খুঁটির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে। ১৯ মে সকালে স্প্যানটি পিয়ারের কাছাকাছি নিয়ে আসতে মাত্র আধাঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে এমবিইসি।

বিজ্ঞাপন

৩ হাজার ছয়শ টন ওজন ক্ষমতার শক্তিশালী ক্রেনবাহী ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ স্প্যানটিকে তুলে নিয়ে পিয়ারের কাছাকাছি যাবে। ওইদিন দুপুর ১২টার মধ্যে এটি বসিয়ে দেওয়া যাবে। এরপর এ মাসের শেষের দিকে জাজিরা প্রান্তে ১৪তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষের।

এর আগে গত ৬ মে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মাঝামাঝি স্থানে ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ১২তম স্প্যান।

পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর অগ্রগতি শিগগিরই ৮০ শতাংশে পৌঁছবে। আরও দুএক মাস পর প্রতি সপ্তাহে স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এমবিইসি সূত্র জানায়, গত ৩ মে পদ্মার ঠিক মাঝ বরাবর ২০ এবং ২১ নাম্বার পিয়ারে স্প্যান উঠানোর কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়।

বিজ্ঞাপন

৩০ মে ২৮ ও ২৯ নম্বার পিলারে স্প্যান  ওটা না হলে পদ্মাসেতুর প্রায় তিন কিলোমিটারের কাছাকাছি দৃশ্যমান হবে। এদিকে পদ্মাসেতুতে ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৬০টির পাইল বসানো হয়েছে।

পদ্মাসেতুর পিয়ার বা খুঁটি ৪২টি। এর মধ্যে ২৪টি খুঁটির নির্মাণ শেষ। জুন মাসের মধ্যে বাকি আরও ১০টি খুঁটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান পদ্মাসেতু প্রকল্প প্রকৌশলীরা।

সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনের চায়না মেজর ব্রিজইঞ্জিনিয়ারিং (এমবিইসি) সূত্র জানায়, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মাসেতু তৈরিতে তাদের সবচেয়ে বেশিযুদ্ধ করতে হয়েছে পদ্মার তলদেশে। তলদেশে মাটির গঠনগত বৈচিত্রের কারণে ১১তম পিয়ারের নকশায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে।

শুরুর দিকে মাওয়া অংশে কাজ বাদ দিয়ে জাজিরা চলে যেতে হয়েছে। তারপর বছর খানেক পর আবারও পিয়ার ডিজাইন হাতে পাওয়ার পর মাওয়া অংশে কাজ শুরু হয়।

পদ্মাসেতুর মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, সেখানেই প্রস্তুত করা ২১টি স্প্যানের মধ্যে ১২টি নদীর মধ্যে পিয়ারে বসে গেছে।

এছাড়া জাজিরা প্রান্ত থেকে পদ্মাসেতুর রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ছয় লেন প্রশস্ত পাঁচটি রোড স্ল্যাব বসে গেছে। আর ভেতরে রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

পদ্মাসেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে। প্রস্তুত করে রাখা আছে প্রায় ৩৫০ রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ২৯২টি স্ল্যাব বসেছে স্প্যান গুলোতে।

আগামী বছরের শেষদিকে পুরোপুরি কাজ শেষ হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর।

সারাবাংলা/এসএ/এমআই

এমবিইসি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্মাসেতু স্প্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর