খালেদা জিয়ার চার্জ শুনানি হয়নি কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায়
১৬ মে ২০১৯ ১৮:০৬
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ জুন দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকলে মামলাটির চার্জ শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। তবে এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
এজন্য তার পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি পিছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারের পাশে দ্বিতীয় নম্বন ভবনের অস্থায়ী-২ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানিতে বলেন, ‘এই মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মৃত্যুবরণ করেছেন। সেই বিষয়ের একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। সেই বিষয়ে আদালত আপনি জানেন।’
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘এ মামলার এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছে সেই বিষয়ের কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেননি। খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাই পরবর্তী শুনানির জন্য একটা সময় মঞ্জুর করেন।
বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পরবর্তী চার্জ শুনানির জন্য নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এছাড়া ব্যারিস্টার আমিনুল হক মৃত্যুবরণ করায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১০ জন।
আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
গত ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমআই