কর্মীদের কর্মবিরতিতে অচল পৌর প্রশাসন
২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:৩২
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
সারাদেশে চলছে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি। বেতন ভাতা ও পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পাওয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ। কর্মবিরতির কারণে পৌরসভার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড অচল ও স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে পৌরবাসী।
সারাদেশে বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে রোববার থেকে কর্মবিরতি চলছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায়ও কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। বিস্তারিত জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে-
জয়পুরহাট : আজ সোমবার সকাল ৬টা হতে আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, কালাই, পাঁচবিবি ও সদর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। এসময় পানি ছাড়া বিদ্যুৎসহ সব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মাগুরা : মাগুরায় দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি সকাল থেকে শুরু হয়। জেলা পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-এর আয়োজন করে, যা চলবে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
রাঙ্গামাটি : আজ সোমবার সকাল থেকে পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে সরকারি সব কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতিতে অংশ নেন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম বশির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সনত কান্তি বড়ুয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল মাহমুদ সোহেল। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন পৌরসভার কাউন্সিলররা। এসময় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্ম বিরতিতে অংশ নেয়।
পৌরসভার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, সরকারি কোষাগার থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান। কর্মবিরতির কারণে পৌরসভার কর্মকাণ্ড অচল ও স্থবির হয়ে পড়ে।
বাগেরহাট : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল থেকে শহরের শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে পৌর কর্মীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে নিজেদের দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল আলিম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম মিঠুসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পৌর নাগরিকদের সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব সময় কাজের মধ্যে থাকেন। নিজের পরিবার পরিজনের থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পৌর নাগরিকদের সেবার প্রতি গুরুত্ব দেয়। এতসব কাজ করার পরেও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবহেলিত। এটা সরকারের এক ধরনের প্রতারণা। তাই অবিলম্বে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও পেনশন রাজস্ব খাত থেকে প্রদান করতে হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে দেশের সব পৌরসভায় সব নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর : সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সামনে অবস্থান নিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী শামছুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এ সময় তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এমন কর্মসূচি চলবে এবং আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
সারাবাংলা/টিএম