কারওয়ান বাজারে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা
১৭ মে ২০১৯ ০১:১৫
ঢাকা: মানহীন হলুদ-মরিচে রঙ মিশিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা এবং নোংরা, স্যাঁতস্যাঁতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজারের হাসিনা মার্কেটে হলুদের গুদাম ও খাবারে হোটেলে র্যাবের ভেজাল বিরোধী অভিযান চলার সময় এ জরিমানা করা হয়। র্যাব-২ য়ের সদস্যদের সহায়তায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
অভিযানের বিষয়ে সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিকেলের রঙ গুদামের হলুদগুলোতে মেশানো হয়েছিল, যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই ৫টি গুদামে সিলগালা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি গুদামকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব গুদামের মালিকরা অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
হলুদের গুদামে অভিযান শেষ করে র্যাব-২ সদস্যরা হাসিনা মার্কেটের পাশের দুটি খাবারের হোটেলে অভিযান চালায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, স্বপ্নীল রেস্তোরাঁ-২ ও জনপ্রিয় খাবারের হোটেল এর রান্না একই জায়গায় হয়। এই দুই খাবারের হোটেলে অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। রান্না ঘরটির চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এছাড়া খাবার রাখার দুটি ফ্রিজই নষ্ট যা পচা ও বাসি খাবারে পরিপূর্ণ ছিল। হোটেল দুটো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সাজানো-গোছানো হলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে গ্রাহকদের কাছে পরিবেশন করতো। এসব অপরাধের হোটেল দুইটিকে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, তারা অতন্ত্য নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির করে ক্রেতাদের পরিবেশন করে আসছে। এছাড়া তাদের খাবার রাখার ফ্রিজগুলো পচা খাবারে ভরা ছিল। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে একই অপরাধ না করে সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। বৈঠকে আগামী ২৩ মে’র আগে হিমসাগর আম বাজার না তোলা এবং ক্যামিকেল যুক্ত ফল বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতি দেন ব্যবসায়ীরা। তবে গুটি আম বিক্রয়ে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই নির্বাহী কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এসএইচ/ইএইচটি