ধানের ন্যায্য মূল্য চান সংস্কৃতিকর্মীরা
১৭ মে ২০১৯ ১৫:৩২
কৃষকের কাছ থেকে সরকার যেন ন্যায্য মূল্যে ধান কেনে, সে দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, সব ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে কৃষক যেন ন্যায্য মূল্যে সরাসরি সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারেন, সে ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। ধানের সরকার নির্ধারিত দাম মণপ্রতি ১০৪০ টাকা থেকে বাড়ানোর দাবিও জানান তারা।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘আমরা কৃষক সন্তান’ ব্যনারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, কৃষকরা অতি কষ্টে ফসল ফলিয়ে সেই ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। এখন বাজারে ধানের যে দাম, তাতে উৎপাদন খরচই উঠছে না। অথচ এই ধানের ওপরই একটি কৃষক পরিবারের সবকিছু নির্ভর করে।
ধানের দরপতনের পেছনে সিন্ডিকেট দায়ী করে তিনি বলেন, এসব সিন্ডিকেটদের প্রতিহত করতে হবে। সরকারকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান কিনতে হবে।
গৌরব ৭১-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম, সরকার ধানের মণ ১০৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এটা ন্যায্য মূল্য হয়নি। আরও বেশি হলে কৃষকের জন্য ভালো হতো। তারপরও আমরা চাই, সরকার সরাসরি নির্ধারিত দামে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনুক। সরকার চাইলে মাঝের ফড়িয়াদের উপেক্ষা করেই কৃষককে তার অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে। আমরা শাহবাগ থেকে এই ঘোষণাটা দিতে চাই— কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ।
মানববন্ধন থেকে সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো— অবিলম্বে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্য মূল্যে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে; ফড়িয়া, দালাল ও মজুতদারদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে; অবিলম্বে কৃষি বীমা চালু করতে হবে; হাওর, উপকূল ও বরেন্দ্র অঞ্চলসহ দেশের কৃষকদের নিয়ে সঠিক ডাটাবেজ তৈরি করে একটি উপযুক্ত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে; কৃষি ঋণ আদায়ে জুলুম বন্ধ করতে হবে; সহজ শর্তে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে; অপরিকল্পিতভাবে চাল আমদানি-রফতানির বিষয়টি মনিটরিং করতে হবে; কৃষি বিপণন অধিদফতরকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আমরা কৃষক সন্তান সংগঠনের সহসভাপতি নিকুঞ্জ হালদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল, হুমায়ূন কবিরসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/কেকে/টিআর