মাছ চাষে ব্যবহৃত প্রোবায়োটিকে ভেজাল চিহ্নিত করতে গবেষণা
১৭ মে ২০১৯ ২০:১৭
অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত মাছের রোগ প্রতিরোধকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া প্রোবায়োটিকেও দেখা মিলেছে ভেজালের। যা ব্যবহারে হুমকির মুখে পড়তে পারে মাছ চাষ। তাই এই ভেজাল প্রোবায়োটিক চিহ্নিত করতে গবেষণায় যুক্ত হয়েছে দেশের এবং বিদেশের একদল গবেষক।
গবেষক দলের সদস্যরা হলেন যুক্তরাজ্যের স্টারলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ফ্রান্সিস মুরে, ড. এন্ডিও ডেসবস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বাকৃবি) অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, যুক্তরাজ্যভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা প্র্যাক্টিক্যাল একশন এর গবেষক ড. ফারুক উল ইসলাম এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। যুক্তরাজ্যের বায়োটেকনোলজি এন্ড বায়োলজিকাল সায়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গবেষণা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্টারলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ফ্রান্সিস মুরে বলেন, ‘প্রোবায়োটিক অ্যান্টিবায়োটিকের মত ক্ষতিকর না। তবে গবেষণায় বাংলাদেশের বাজারে প্রাপ্ত প্রোবায়োটিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু পাওয়া গেছে। আর বাংলাদেশে এই ভেজাল প্রোবায়োটিককে চিহ্নিত করার মতো মাঠ পর্যায়ে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মাছ চাষিদের। তাই কৃষক পর্যায়ে সঠিক প্রোবায়োটিক চিহ্নিত করার উপায় এবং সরকারের একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়ে গবেষণা করছি আমরা।’
প্রকল্পটির অধীনে ভেজাল প্রোবায়োটিক নিরীক্ষণের প্রযুক্তি জানতে দেশের ফিশারিজ সেক্টরের পাঁচ জন এক্সপার্টকেও ট্রেনিং দেবে যুক্তরাজ্যের স্টারলিং বিশ্ববিদ্যালয়।
সারাবাংলা/ওএম/এনএইচ