এখনো বাজারে নিম্নমানের পণ্য
১৮ মে ২০১৯ ১৩:৪৯
ঢাকা: নিম্নমানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংস করতে আদালতের নির্দেশের পরে সচেতনতা বেড়েছে ভোক্তা শ্রেণির মধ্যে। কিন্তু কিছু কোম্পানি বাজার থেকে তাদের পণ্য তুলে নিলেও অনেক দোকানে এখনো রয়ে গেছে নিম্নমানের বেশকিছু নিত্যপণ্য।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর বেশ ক’টি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনো দোকানে দোকানে রয়ে গেছে ৫২ টি নিম্নমানের পণ্যের বেশ কয়েকটি।
https://youtu.be/4iwpOsL4BC0
রাজধানীর সূত্রাপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোল্লা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের উৎপাদিত লবণ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (বিইওএল) রূপচাঁদা সরিষার তেল ও সিটি গ্রুপ তাদের তীর সরিষার তেল বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। তবে টিকে গ্রুপের পুষ্টি সরিষার তেল এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রাণ হলুদ গুঁড়া এখনো বাজারে রয়েছে।
সূত্রাপুর বাজারের মুদি দোকানি রাজীব জানান, নিম্নমানের পণ্যের তালিকাভুক্ত প্রাণের প্রোডাক্ট এখানো আমাদের কাছে থেকে গেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে গুঁড়া মসলা নিয়ে যেতে কেউ আসেনি। এর মধ্যে মোল্লা সল্ট এবং তীর সরিষার তেল আমাদের কাছ থেকে তাদের পণ্য নিয়ে গেছে।
সারাবাংলার সঙ্গে যখন দোকানীর কথোপকথন চলছিল, তখন ওই দোকানে আসেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা। প্রাণের হলুদ গুঁড়া দেখে তিনিও প্রশ্ন করেন, এই পণ্যগুলো এখনো বাজারে আছে?
এসময় অন্য ব্রান্ডের হলুদ গুঁড়া কেনেন ওই ক্রেতা।
সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজারেও দেখা যায় প্রাণের হলুদ গুঁড়া রয়েছে। তুলে নেওয়া হয়নি মোল্লা সল্টও। ওই বাজারের বিক্রেতারা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে আমরা অবগত। অনেক কোম্পানি এখনো তাদের পণ্য নিতে আসেনি। ফলে আমাদের দোকানে পণ্যগুলো থেকে গেছে।’
ভিন্ন নয় শান্তিনগর বাজারের চিত্রও। ‘অনিক স্টোরে’ দেখা যায়, প্রাণের হলুদ গুঁড়া ও লাচ্ছা সেমাই এখানো রয়ে গেছে। পুষ্টি সরিষার তেলও দেখা যায়। অনিক স্টোরের ম্যানেজার ফয়সাল হক বলেন, কোম্পানি এলে এসব পণ্য দিয়ে দেওয়া হবে। আমরা কোনো ক্রেতাকে এসব পণ্য বলছি না।
আরও পড়ুন: নিম্নমানের ৫২ পণ্য বাজার থেকে তুলে ধ্বংসের নির্দেশ
তিনি জানান, এই বাজার থেকে শুধুমাত্র তীর সরিষার তেল তুলে নিয়ে গেছে। অন্য কোম্পানিগুলো এখনো আসেনি।
এ প্রসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা সারাবাংলাকে বলেন, আদালতের নির্দেশের অনুলিপি হাতে পেয়ে আমরা প্রত্যেকটি কোম্পানিকে নোটিশ দিয়েছি। যেন দ্রুত সম্ভব বাজার থেকে পণ্যগুলো তুলে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে অনেকে তুলে নিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। যেমন খুলনার বাজার থেকে মোল্লা সল্ট তুলে নেওয়ার পর জেলা প্রশাসক গুদাম সিলগালা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনিটরিং করছি। ঢাকার বাজার থেকে তীর তেল তুলে নিতে শুরু করেছে বলে জানতে পেরেছি। আশা করি, বাকিরাও দ্রুত তুলে নেবে। বাজারে ওইসব পণ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১২ মে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় নিম্নমান প্রমাণিত হওয়ায় নামি-দামি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২ ব্র্যান্ডের পণ্য জব্দ ও সেসব বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংসের নির্দেশ দেন আদালত। সেইসঙ্গে এসব পণ্য উৎপাদন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এটি/জেডএফ