‘গ্রামে নাকি ডাক্তার নাই, আমরাই তো যেতে চাই’
১৮ মে ২০১৯ ১৩:৪৮
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন অনুযায়ী ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের ৮ হাজার ৩শ ৬০ জন উত্তীর্ণ নন ক্যাডারকে শূন্য পদ সৃষ্টির মাধ্যমে ক্যাডারভুক্তকরণের মধ্য দিয়ে চিকিৎসক সংকট নিরসনে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘চিকিৎসক সংকট ও তার সমাধান’ শীর্ষক মানববন্ধন থেকে এ আবেদন জানান তারা। এ সময় তারা শ্লোগান দিতে থাকেন, ‘গ্রামে নাকি ডাক্তার নাই, আমরাই তো যেতে চাই’।
দেশের প্রায় প্রত্যেকটি উপজেলা হাসপাতালের চিত্র মোটামুটি একই দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেন, অপ্রতুল চিকিৎসক এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের এপ্রিলে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ৩৯ তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করে। ৪ হাজার ৭শ ৯২ জন ডাক্তার নিয়োগের কথা বলা হলেও তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অন্তত ৭০০০ এবং সম্ভব হলে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের কথা জানান। এছাড়া, একই কথা বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর মুখেও শোনা যায়।
গ্রামে যেতে ইচ্ছুক প্রায় ৩৮ হাজার ডাক্তার। ৩৯ তম বিশেষ বিসিএস অংশ নিলে প্রাথমিক বাছাই পর্বে ১৩ হাজার ২শ জন নির্বাচিত হয়ে মৌখিক পরীক্ষার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় পিএসসি’র পরিপত্র মোতাবেক ৪ হাজার ৭শ ৯২ জনকে ডাক্তার করতে বাধ্য হয়। জানানো হয়, ৮হাজার ৩শ ৬০ জন চিকিৎসক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগের সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। যোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৪শ ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে যেখানে সপ্তাহে একদিন চিকিৎসক যাবে। কিন্তু বিপুল পরিমাণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা একজন চিকিৎসকের পক্ষে সম্ভব নয়। এই ৮ হাজার ৩শ ৬০ জন ডাক্তারকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে চিকিৎসক সংকট নিরসনে অবদান রাখা সম্ভব।
এছাড়া, সরকারি ১০৫টি কলেজে এখন শিক্ষকের সংখ্যার ৯ হাজার ৪শ ০৩ জন। অথচ দরকার ২৫ হাজার ৩০০ জন অর্থাৎ ৬৩ শতাংশ কম রেখেই মেডিকেল শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে কলেজগুলো। তাই, সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানবিক আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/জেএএম