Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাল আমদানি বন্ধ নয় নিয়ন্ত্রণ করা হবে: অর্থমন্ত্রী


১৯ মে ২০১৯ ১৫:৩০

ঢাকা: কৃষকের জন্য ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে দেশে চাল আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। শুধু তাই নয় ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কৃষককে বাঁচাতে হবে। আমরা সরকার থেকে যেটা করতে পারি, সেটা হলো আমরা আমদানি রেস্ট্রিক্ট (নিয়ন্ত্রণ) করতে পারি। সরকারিভাবে আমরা এই কাজটি করব। অবশ্যই রেস্ট্রিক্ট করব। আমরা তো এটা ব্যান্ড করে দিতে পারব না।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি ও কৃষকের বাজেট নামে একটি প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। এক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ও বিশেষ গুরুত্ব প্রস্তাব হিসেবে অর্থমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু সুপারিশমালা তুলে ধরেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর আমরা অনেক বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পেরেছি। আমাদের যেমন বেশি উৎপাদন হয়েছে, আশেপাশের দেশেও তেমনি খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে। বাইরে যদি ডিমান্ড (চাহিদা) থাকত, আমরা রপ্তানি করতাম। বাইরেও চাহিদা নাই।’ তারপরও দেশের কৃষকদের বাঁচাতে চাল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একেবারেই বন্ধ করা হয়ত যাবে না।’

মন্ত্রী জানান, ভর্তুকি দিয়ে শবজি রপ্তানি করায় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। ‘সবজি অনেক হচ্ছিল। কৃষকরা দাম পাচ্ছিল না পচে যাচ্ছিল। আমরা রপ্তানির ব্যবস্থা করলাম। রপ্তানি খরচ দিতে পারে না বলে আমরা সেখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিয়ে আমরা সেই কাজটি করছি। এর কারণে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চার নম্বরে। রপ্তানি করার কারণে এর বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। সবজিতে দাম পাচ্ছে কৃষকরা।’ ।’

বিজ্ঞাপন

শুধু সবজি নয়, যে বছর যে পণ্য বেশি উৎপাদন হবে, সেগুলোও রপ্তানি করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তার মতে, ‘তাহলে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে মিসম্যাচটা (ব্যবধান) হবে না। ন্যায্য দামটা কৃষক পাবেন।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদন করে তারা যদি উৎপাদনের খরচ না পায়, তাহলে একদিকে তারা নিরুৎসাহিত হবে। অন্যদিকে আমরা মনে করি, এটি সরকারের জন্য একটি অনৈতিক বিষয়। সরকারকে সবদিকেই দেখতে হবে, উৎপাদনও দেখতে হবে, উৎপাদনের জন্য সহায়ক যা আছে, এগুলোরও সমাধান দিতে হবে। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। আমি মনে করি, এটা অবশ্যই করণীয়।’

কৃষি যন্ত্রপাতির বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আমরা যে কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো দিই, সেগুলো নিতেও চায় না। আমরা অনেক ভতুর্কি দিয়ে দিতে চাইলেও কেউ নিতে চায় না। কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে সবাইকে বলতে হবে, এতে উৎপাদন বাড়বে। ব্যয়ও কমে যাবে। এই ব্যয় কমানোর জন্যও আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

অর্থমন্ত্রী চাল কৃষক ধান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর