নওফেলের নাম ভাঙিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ নেত্রীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ
১৯ মে ২০১৯ ১৬:৫৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নাম ভাঙিয়ে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশা এ কথা জানান।
গতকাল (শনিবার) রাতে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি। জিডি নম্বর ১২০১।
শ্রাবণী দিশা জানান, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজার একটি বাসায় ওঠেন তিনি। সেখান থেকে তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, বদরুন্নেছা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এস কে রিমা আমাকে কল করে জানায়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এরপর উপমন্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একজন ফোনে বলেন, ‘তোমার ওপর হামলার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তুমি সন্ধ্যায় রিমার সঙ্গে চলে এসো। আমি তোমাকে আপার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে নিয়ে যাবো।’
সন্ধায় রিমা আমাকে নিতে আসে। কিন্তু রিমার আচরণ দেখে আমার সন্দেহ হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে রিমাও দ্রুত বেরিয়ে যায়। এর মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি দেশের বাহিরে। এরপর আমি শাহবাগ থানায় জিডি করি। সে সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন, বলেন দিশা।
বদরুন্নেছা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এস কে রিমা সারাবাংলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল আমার কাছে ফোন করে শ্রাবণী দিশার নম্বর চান। বিষয়টি জানালে দিশা আমাকে হাতিরপুলের একটি বাসায় যেতে বলেন। আমি সেখানে যাই। তার সঙ্গে আমার স্বাভাবিক কথা বার্তা হয়। অপহরণের কী হলো এখানে বুঝতেছি না।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দেশে অবস্থান করছেন বলেও জানান রিমা।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রাবণী দিশা আরও বলেন, তিনি এখনো শঙ্কিত। আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করছি।
গত সোমবার মধুর ক্যান্টিনে হামলার সঙ্গে এই অপহরণ চেষ্টার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে বিতর্কিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘জিডি হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৌরব ’৭১-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন।
সারাবাংলা/কেকে/এটি