Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এফবিসিসিআইয়ের দায়িত্বে নতুন পর্ষদ


১৯ মে ২০১৯ ১৬:৪১

ঢাকা: ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্বাধীন নতুন পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনের এফবিসিসিআই মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শফিউল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিদায়ী কমিটি নতুন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। নতুন পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফেডারেশন ভবন সেজেছিল নতুন সাজে। মূল ফটক থেকে শুরু করে অফিস কক্ষ, বোর্ড রুম, মিলনায়তন— সবখানেই শোভা পাচ্ছিল দায়িত্বগ্রহণের পোস্টার। মূল ফটকও ছিল ফুলেল সাজে সজ্জিত।

দুপুর ২টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই মিলনায়তন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। মিলনায়তনের নির্দিষ্ট আসনে এসে বসেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকরা। মূল মঞ্চের বাম পাশে বসেন সংগঠনটির একাধিক সাবেক সভাপতি। নতুন ও বিদায়ী সভাপতি বসেন পাশাপাশি। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় বিদায়ী কমিটির সভাপতি সংগঠনের পতাকা তুলে দেন নতুন সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের হাতে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর বক্তব্য রাখছেন এফবিসিসিআই সভাপতি

দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, আমাদের জেনারেল বডির সব সদস্য ও প্রাক্তন সদস্যদের সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় আজকের এই দায়িত্ব হস্তান্তর। আমি বিশ্বাস করি, সাবেকদের নির্দেশনা আমাদের সঙ্গে থাকবে। আপনাদের সবাইকে নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। এফবিসিসিআইয়ের যে ধারবাহিকতা, উদীয়মান অর্থনীতির জন্য যেসব পদক্ষেপ, যেমন অ্যাপেক্স ট্রেড বডি দরকার, আমরা সেই দিকে অগ্রসর হব।

বিদয়ী সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, নতুন বোর্ড অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সফল হবে, আমাদের গৌরবান্বিত করবে, এটি আমরা বিশ্বাস। ফাহিম সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষেত্রে অতীতের সাফল্য ধরে রাখতে পারবে। আমি নতুন বোর্ডের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে ১৭৬তম অবস্থানে থাকতে চাই না। আশা করি এফবিসিসিআইয়ের নতুন নেতৃত্ব এক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।

এফবিসিসিআইয়ের বিদায়ী সভাপতির বক্তব্য

এর আগে, সংগঠনটির নবনির্বাচিত ৭১ জন পরিচালকের নিরঙ্কুশ সমর্থনে শেখ ফজলে ফাহিম সংগঠনটির ২২তম সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০১৯-২১ মেয়াদে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হন মো. মুনতাকিম আশরাফ, চেম্বার গ্রুপ থেকে সহসভাপতি হন হাসিনা নেওয়াজ, মো. রেজাউল করিম রেজনু ও দিলিপ কুমার আগারওয়ালা এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে সহসভাপতি হন মো. সিদ্দিকুর রহমান, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন রাজেশ।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আশরাফ নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। উপস্থিত পরিচালকেরা হাত নেড়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেন। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ও কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদসহ সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৯-২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’ প্যানেলের সব প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ২৭ এপ্রিল এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ওই ফল ঘোষণা করে। আর ২৯ এপ্রিল বিজয়ীদের ভোটে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি নির্বাচন করা হয়।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল এফবিসিসিআই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২১টি করে মোট ৪২টি পদের জন্য ৪২টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ায় কোনো নির্বাচন করতে হয়নি।

নতুন সভাপতির হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন বিদায়ী সভাপতি

এদিকে, আবারও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন গাজী গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম আশরিয়া। তিনি চেম্বার গ্রুপ থেকে কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি’র প্রতিনিধি হয়ে এই পদে নির্বাচিত হন।

চেম্বার গ্রুপের পরিচালকরা হলেন— শেখ ফজলে ফাহিম, হাসিনা নেওয়াজ, মাসুদুর রহমান মিলন, আজিজুল হক, দিলিপ কুমার আগারওয়ালা, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান (ইমরান), এ এইচ আহমেদ জামাল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. রেজাউল করিম রেজনু, গাজী গোলাম আশরিয়া, কোহিনুর ইসলাম, প্রবীণ কুমার সাহা, মো. আতাউর রহমান ভুঁইয়া, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসাইন খান টিটো, মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, মিসেস সরিতা মিল্লাত, সুজীব রঞ্জন দাস, এম এ রাজ্জাক খান, মো. হাসানুজ্জামান, শরিফুল ইসলাম ও হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান।

অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের পরিচালকরা হলেন— খন্দকার মাইনুর রহমান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাফকাত হায়দার, মুনতাকিম আশরাফ, মেহেদী আলী, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, আবুল আয়েছ খান, মুহাম্মদ আমজান হোসেন, কাজী শোয়েব রশিদ, মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা, হাফেজ হারুন, আবু মোতালেব, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, খন্দকার রুহুল আমিন, নিজাম উদ্দিন রাজেশ, আবদুল হক, হেলেনা জাহাঙ্গীর, শমী কায়সার, মো. মুনির হোসেন, আবু নাসের ও রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি।

এদিকে চেম্বার গ্রুপের মনোনীত পরিচালকরা হলেন— সালাউদ্দিন আলমগীর, প্রীতি চক্রবর্তী, সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ, নিজাম উদ্দিন, নুরুন নেওয়াজ, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মনোয়ারা হাকিম আলী, হোসেন খালেদ, নাজ ফারহানা আহমেদ, কাজী আমিনুল হক, গোলাম নঈনউদ্দিন, সামিউল হক সাফা, মনজুর রহমান পিটার ও খন্দকার শিপার আহমেদ।

আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের মনোনীত পরিচালকরা হলেন— নজরুল ইসলাম মজুমদার, বেনজির আহমেদ, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, এস এম শফিউজ্জামান, কাজী বেলায়েত হোসেন, কে এম আক্তারুজ্জামান, মো. সিদ্দিকুর রহমান, শেখ কবির হোসেন, মুহাম্মদ সামস-উজ-জোহা, এ কে এম সেলিম ওসমান, ড. কাজী এরতেজা হাসান, ফেরদৌস ওয়াহেদ, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী খোকন ও আলমগীর সামসুল আলামিন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

এফবিসিসিআই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর