Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লোকসভা নির্বাচন: বুথ ফেরত জরিপে মোদির জয়ের আভাস


১৯ মে ২০১৯ ২১:০৪

শেষ হলো ১৭তম লোকসভা নির্বাচন। সাত সপ্তাহজুড়ে সাত দফায় ভারতজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচন। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৩ মে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তবে এর আগেই স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রকাশ করছে বুথ ফেরত জরিপ। জরিপ অনুসারে, আবারো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। খবর দ্য হিন্দুর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ মে) পশ্চিমবঙ্গ ও বারানসিসহ ভারতের সাত প্রদেশ ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে মোট ৫৯ আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফা। এই দফায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটির বেশি মানুষ। নির্বাচনে প্রার্থিতা করেছেন ৯১৮ জন প্রার্থী।

সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে সারাদিন চলেছে ভোটগ্রহণ। তবে দিনশেষে শুরু হয়েছে বুথ ফেরত জরিপ প্রকাশের পালা। বিভিন্ন টেলিভিশন ও স্থানীয় গণমাধ্যম ইতোমধ্যে তাদের অনুমান প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে ফের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন মোদি। আর হারতে চলেছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলোর জোট।

টাইমস নাউ তাদের জরিপে বলেছে, এনডিএ জয়ী হবে ৩০৬ আসনে; ইউপিএ জয়ী হবে ১৩২ আসনে ও অন্যান্য দল জিতবে ১০৪ আসনে।

নিউজ এক্স জানিয়েছে, এনডিএ’র দখলে যাবে ২৯৮ আসন; ইউপিএ পাবে ১১৮ আসন ও অন্যান্যরা পাবে ১২৭ আসন। রিপাবলিক টিভি জানিয়েছে, এনডিএ ২৯৫-৩১৫ আসনে জয়ী হতে পারে; ইউপিএ জয়ী হতে পারে ১২২-১২৫ আসনে ও অন্যান্যরা ১০২-১২৫ আসনে। এছাড়া, এনডিটিভির জরিপ অনুসারেও জিতবে মোদির জোটই। এনডিএ জয়ী হবে ৩০০ আসনে; ইউপিএ জয়ী হবে ১২৭ আসনে ও অন্যান্যরা  জয়ী হবে ১১৫ আসনে।

অন্যান্য টিভি চ্যানেলের মধ্যে বাত জানিয়েছে, এনডিএ, ইউপিএ ও অন্যান্য দলগুলো যথাক্রমে ৩০৫, ১২৪ ও ৮৭ আসনে জয় লাভ করবে।

এদিকে, নানা সহিংসতা ও বিভ্রাটের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নির্বাচনের সপ্তম দফা। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এসব ঘটনা বেশি ঘটেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। কোথাও কোথাও কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের এজেন্টদের ওপর হামলা চালায়। তবে তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন উপলক্ষে আগ থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয় পশ্চিমবঙ্গে। এছাড়া, বিভিন্ন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে দেরিতে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।  অভিযোগ ওঠেছে একটি বুথে ইভিএম খারাপ থাকার অজুহাতে বেলা সাড়ে ন’টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু করা হয়নি।

শেষ দফার ভোটে প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিজেপি প্রার্থী ও চলচ্চিত্র অভিনেতা সানি দেওল, কিরণ খের ও কংগ্রেসের শত্রুঘ্ন সিনহাসহ অনেকে। এছাড়া কলকাতার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীও প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী- নুসরাত জাহান, মিমি চক্রবর্তী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। সেসময় ৩৩৬ আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এই জোট। এর মধ্যে বিজেপি একক দল হিসেবে জয়ী হয় ২৮২ আসনে। সেসময়, ১৯৮৪ সালের পর প্রথম কোনো একক দল হিসেবে রেকর্ড পরিমাণ আসনে জয়ী হয় বিজেপি।

সারাবাংলা/আরএ

ইউপিএ এনডিএ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর