সারাদেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের সুপারিশ
১৯ মে ২০১৯ ২১:০৯
ঢাকা: সারাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। রোববার (১৯ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৩য় বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. আলী আজগার, এস এম জগলুল হায়দার, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছাম্মৎ খালেদা খানম এবং বেগম নার্গিস রহমান অংশ নেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে দেশে স্থাপিত কনডেনসেট প্লান্টগুলোতে পর্যাপ্ত কনডেনসেট সরবরাহ করার সক্ষমতা না থাকলেও মন্ত্রণালয় থেকে যাতে নতুন কনডেনসেট প্ল্যান্ট নির্মাণের অনুমতি না দেওয়া হয় সে বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও কনডেনসেটের মূল্য যাতে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের মূল্য অপেক্ষা বেশি না হয় এবং কোনোভাবেই কনডেনসেট বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি না দেয়া হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া কনডেনসেটের অপব্যবহার রোধ সম্পর্কিত দশম জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক প্রণীত রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনা ও পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে কনডেনসেটের ক্ষতিকর দিক নিয়ে অলোচনা করা হয়। যারা এ ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে অন্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে কনডেনসেট ব্যবহারের সৃষ্ট সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের পাশাপাশি একটি নীতিমালা প্রণয়ণের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া ২০২০ সালের ‘মুজিব বর্ষ’পালনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ‘মুজিব বর্ষ পালনের সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সব কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দশম জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় কমিটিকে জানানো হয় যে, দশম সংসদে মোট ১১০টি সুপারিশ করা হয় এর মধ্যে ৮৪টি সুপারিশ পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা। সুপারিশ বাস্তবায়নের হার ৯২ শতাংশ।
বৈঠকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫,০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় কমিটি দেশের সকল স্থানে সমপরিমান গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অফশোর গ্যাস আহরণে আরও বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও