Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদে ১১ অতিথিকে বরণ করতে প্রস্তুত চিড়িয়াখানা


২০ মে ২০১৯ ০৮:২৫

ঢাকা: জাতীয় চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে তিন প্রজাতির নতুন ১১টি প্রাণী। আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই দক্ষিণ অফ্রিকা থেকে এসব প্রাণী বাংলাদেশে আনা হবে। এবার ঈদে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় গেলে নতুন চারটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, তিনটি ক্যাঙ্গারু, দুইটি চিতা ও দুইটি ইমপালা হরিণ দেখতে পাবেন। এরই মধ্যে এসব প্রাণী রাখার জন্য কয়েকটি খাঁচা খালি করে রঙও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এসএম নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, নতুন প্রাণী আনার জন্য নতুন কোনো প্রকল্প নেই। সাধারণ বাজেট থেকে নতুন ১১টি প্রাণী আনা হচ্ছে। এগুলো আনার সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রাণীগুলোকে বিমানে করে দেশে আনা হবে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া দুবাই থেকে একজোড়া শিম্পাঞ্জি এবং ভারত থেকে একজোড়া সাদা বাঘ আনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম।

চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই প্রাণীগুলো আনতে মোট খরচ হচ্ছে ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে চারটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনতে খরচ হচ্ছে ৮০ লাখ টাকা, একজোড়া চিতা ৬০ লাখ, তিনটি ক্যাঙ্গারু ৩৩ লাখ এবং একজোড়া ইমপালা আনতে খরচ হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। এই প্রাণীগুলোর প্রজননের পরিকল্পনাও রয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।

চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ছয়টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। তবে বয়স হয়ে যাওয়ায় প্রজনন ক্ষমতা হারিয়েছে বাঘগুলো। ছয়টির মধ্যে চারটির বয়স ১৫ বছরের বেশি। এর মধ্যে একটির বয়স ২০ বছর। বাকি দু’টির বয়সও ১০ বছরের ওপরে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গড় আয়ু ১৫ বছর, তাই বাঘগুলো নতুন করে আর বংশবিস্তার করতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে চিড়িয়াখানায় একটি ক্যাঙ্গারু রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ক্যাঙ্গারুটি নিঃসঙ্গতায় ভুগছে। নতুন তিনটি ক্যাঙ্গারু আনা হলে দুই জোড়া ক্যাঙ্গারু হবে এবং নারী-পুরুষের ভারসাম্য আসবে। এখন তিনটি ইমপালা হরিণ রয়েছে, নতুন আসছে আরও একজোড়া।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় চিড়িয়াখানায় আটটি প্রাণী আনা হয়েছিল। এর মধ্যে বিপন্ন প্রায় দু’টি গণ্ডারও ছিল। আরও আনা হয়েছিল দু‘টি সাদা সিংহ ও চারটি হায়েনা। ওই বছরই উপহার হিসেবে দু’টি জিরাফ পেয়েছিল জাতীয় চিড়িয়াখানা। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দু’টি উট এবং কয়েকটি উটপাখি আনা হয়।

পরবর্তী সময়ে এসব প্রাণীর বেশিরভাগই মারা যায়। এরপর থেকে শিম্পাঞ্জি, টাপির ও চিতার খাঁচা খালি রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর নিঃসঙ্গ জীবন কাটানোর পরে ২০১৬ সালের জুন মাসে মারা যায় শিম্পাঞ্জিটি।

শিক্ষা, গবেষণা, প্রাণী বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১৯৬১ সালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা চিড়িয়াখানা নির্মাণ করা হয়। ১৮৬ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর নির্মিত চিড়িয়াখানাটি ১৯৭৪ সালের ২৩ জুন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে জাতীয় চিড়িয়াখানার অবস্থান শীর্ষে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৪০ লাখের বেশি দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় আসেন।

সারাবাংলা/জিএস/এটি

জাতীয় চিড়িয়াখানা দক্ষিণ আফ্রিকা বাঘ রয়েল বেঙ্গল টাইগার

বিজ্ঞাপন

কাজী শুভর ‘মিষ্টি প্রেমের দই'
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর