পদ্মা সেতুর অগ্রগতি জানতে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের
২০ মে ২০১৯ ১১:২৩
ঢাকা: দীর্ঘ দুই মাস ১০ দিন পর দেশে ফিরেই কাজে নেমে পড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থা জানতে মন্ত্রণালয়ে একের পর এক বৈঠক করছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশকিছু প্রকল্পের অবস্থা জানতে বৈঠকে বসেছেন মন্ত্রী।
সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টায় সেতু ভবনে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী নিজেই গণমাধ্যমের সামনে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরবেন।
বৈঠকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ। আর নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ ভাগ। সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ।
পদ্মা সেতুর মূল ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬ টি পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ২৬ টি পাইল জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে বলে মন্ত্রীকে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
এছাড়া, মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে যে মূল সেতুর ৪২ টি পিয়ার বা খুঁটির মধ্যে ২৫ টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ৬ টি পিয়ারে কাজ শেষ হবে। আর বাকি ১১ টি পিয়ারের এর কাজ চলমান রয়েছে।
পদ্মা সেতুর মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩ টি স্প্যান ছিল। এর মধ্যে ১২ টি স্পান পিয়ারের উপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৫ মে এর মধ্যে আরেকটি স্প্যান পিয়ারে উঠিয়ে দেওয়া হবে। আর বাকি স্প্যান গুলো চীনে নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্ট পাইলিং ও পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। এখন পিয়ার ক্যাপ ও গার্ডার স্থাপনের কাজ চলছে।
নদী শাসন কাজ মোট ছয় কিলোমিটার নদীর মধ্যে তিন কিলোমিটার শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৪ কিলোমিটার শেষ হবে বলে বৈঠকে মন্ত্রীকে জানানো হয়।
এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে বনানী পর্যন্ত এক্সপ্রেস এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি বলেও ওবায়দুল কাদেরকে জানানো হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হচ্ছে না। নতুন সময়সূচী ঠিক করা হয়েছে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। দ্বিতীয় ধাপ মগবাজার পর্যন্ত শেষ হবে ২০২০ সালের নভেম্বরে এবং তৃতীয় ধাপ যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত শেষ হবে ২০২২ সালে।
এ প্রকল্পের ১৩৩৩ টি পাইল ও ৩০০টি পাইল ক্যাপ, ৭৯ টি ক্রস বিম, কলাম ১৮৭ টি সম্পূর্ণ ও আংশিক ১১৯ টি, ১৮৬ টি আই গার্ডার নির্মাণ শেষ হয়েছে। এছাড়াও ১৪ টি স্প্যান আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে মন্ত্রীকে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নিয়েও জানানো হয়। বলা হয় যে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে টানেল বোরিং মেশিন উদ্বোধন করার পর এখন পর্যন্ত এটি ১৬০ মিটার খনন করতে পেরেছে। টানেলের বর্তমান অগ্রগতি ৩৮ শতাংশ।
সারাবাংলা/এসএ/এসএমএন
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ওবায়দুল কাদের কর্ণফুলী টানেল পদ্মা সেতু