মির্জা ফখরুলকে সংসদে দেখতে চান ওবায়দুল কাদের
২০ মে ২০১৯ ১৩:০৪
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় সংসদে থাকলে বিরোধী দলের অবস্থা আরও শক্তিশালী হতো বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদল হিসেবে তাদের পারপাস সার্ভ করার জন্য মির্জা ফখরুলের যোগদান আবশ্যক ছিল।’
সোমবার (২০ মে) বনানীর সেতু ভবনে প্রকল্প কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
চিকিৎসা শেষে ফেরার পর এই প্রথম রাজনৈতিক প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন মন্ত্রী। তিনি জানান, সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে দলের কার্যালয়ে যাবেন, তবে শারীরিক কারণে আপাতত তাকে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলতে হবে।
দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আবার কাজে যোগদান সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাজের উৎসাহ বেড়েছে। কমিটমেন্টও আরও গভীর হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি লাঘবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ নতুনভাবে পেলাম। একজন রাজনীতিবিদের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় কিছু নেই।’
এসময় মন্ত্রিসভার রদবদল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কাজের সুবিধার জন্য রদবদল প্রয়োজন পড়ে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু টিম লিডার, উনি জাহাজের ক্যাপ্টেন। সময়ের চাহিদা মেটানো ও বাস্তবতা আলিঙ্গন করে এটা করা হয়েছে। বিষয়টা হচ্ছে কাজের গতি ও গুণাগুণ নিশ্চিত করার জন্য। সেদিকটা প্রধানমন্ত্রী দেখছেন।’
এ সময় বিএনপির প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কি করবে এটা তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা শুভ বুদ্ধির উদয় যে তারা সংসদে যোগ দিয়েছেন। অংশগ্রহণ সংখ্যার দিক থেকে নয়, ভারিক্কির দিক থেকে মির্জা ফখরুল বিরোধীদলের হয়ে শক্তিশালী ম্যাসেজ দিতে পারতেন।’
ওবায়দুল কাদের বিরোধী দলের শক্তিশালী ভূমিকা আশা করে বলেন, ‘তারা যদি সংসদের বাইরেও কথা বলেন তাতে করে সরকারি দলও উপকৃত হবে। বিএনপি যদি রাজপথে আন্দোলন করে তাহলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। তবে যদি তাতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হয় তখন অবশ্যই নিরাপত্তার জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য যা করা দরকার প্রশাসন সেটা করবে।’
ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে দুঃখজনক উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘দেশে অনুপস্থিতির কারণে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রী দলের চারজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজন হলে হলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলবো।’
সারাবাংলা/এসএ/এসএমএন