২২ বছর পর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার রায়
২১ মে ২০১৯ ১৭:২১
রংপুর: দীর্ঘ ২২ বছর পর রংপুরের কলেজ ছাত্রী রুমান আফরোজ তন্দ্রাকে শ্লীলতাহানি, মারধর ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ৫ আসামীর ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-মানিক, রতন, রানা, বাবলা ও মালেকা। এদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মানিক, রানা ও বাবলা। তবে রতন ও মালেকা পলাতক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে ঢাকার মিরপুর আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন রুমানা আফরোজ তন্দ্রা। ছুটিতে সে রংপুরের বরার্টসনগঞ্জ বাবুপাড়া এলাকায় তার মা মাসুদা চৌধুরীর বাসায় যান। সেসময় স্থানীয় মানিক, রতন, বাবলা ও রানাসহ বেশ কয়েকজন তাকে উত্তক্ত করত। সে বছরের ১ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকানে দিয়াশলাই কিনতে যায় তন্ত্রা। সেখানে তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন মানিক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে কুড়াল নিয়ে এসে আসামিদের ওপর আঘাত করার চেষ্টা করেন তন্দ্রা। তবে আসামিরা তাকে প্রকাশ্যে মারধর করে ও তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে দেয়। সবার সামনে এভাবে শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় তন্দ্রা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সেই রাতেই আত্মহত্যা করেন তিনি।
তন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় তার মা মাসুদা চৌধুরি বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মামলার শুনানি চলে। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য ও চার্জশিট পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার আদালত রায় দেন। রায়ে পাঁচজনকে বিভিন্ন ধারায় অর্থদণ্ডসহ মোট ১৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এসএমএন
আত্মহত্যা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা রুমান আফরোজ তন্দ্রা শ্লীলতাহানী