ক্ষমতার অপব্যবহার করেই ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ
৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৩:৪০
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে পাওয়া সব টাকায় আত্মসাৎ করেছেন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার যুক্তিতর্কে শুনানিতে আদালতে এ কথা বলেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেই এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
চ্যারিটেবল মামলার আসামিদের অপরাধ প্রমাণ হয়েছে বলে দাবি করেন দুদকের অাইনজীবী। তিনি খালেদা জিয়াসহ অাসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। পরে অাসামী পক্ষে অাইনজীবী অামিনুল ইসলাম তার যুক্তি উপাস্থাপন শুরু করেন। তার যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় আদালত আজকের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল আবার আদালতের কাজ শুরু হবে।
এর আগে, বেলা সোয়া ১২টার দিকে বকশীবাজারের কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এ হাজির হন খালেদা জিয়া ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালে ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)। পরে ২০১২ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন, খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
সারাবাংলা/এজেডকে/এনএস