Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদযাত্রায় নৌ-পথের নিরাপত্তায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির ১৮ প্রস্তাবনা


২৩ মে ২০১৯ ০৪:২০

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌ-পথে যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণের নিরাপদ ও হয়রানীমুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করতে ওভারলোড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য প্রতিরোধ, লঞ্চ ও খেয়াঘাটে ইজারাদারের দৌরাত্ম বন্ধ করাসহ ১৮ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বুধবার (২২ মে) গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের নামে প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে নৌ-পথের যাত্রীরা। কেবিনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে তুলে দিয়ে কয়েকগুণ বাড়তি দামে বিক্রির খবর ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ কালবৈশাখীর এই সময়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নৌ-পথে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা না গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া ১৮ দফা প্রস্তাবনাগুলো হলো:

১. যাত্রীবাহী সকল প্রকার নৌ-যানে ওভারলোড বা অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।
২. সকল নৌ-বন্দর, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাটে ঘাটভাড়ার নামে ইজারাদারের দৌরাত্ম, অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করা।
৩. সকল নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাটে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, প্রতারকচক্র, কুলিদের দৌরাত্ম বন্ধ করা।
৪. প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে উপকুলীয় অঞ্চলে, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ, অনিবন্ধীত, ফিটনেসবিহীন, ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-যান চলাচল নিষিদ্ধ করা।
৫. শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি ও পাঠুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোডসমূহে অতিরিক্ত যাত্রীবহন নিষিদ্ধ করার পাশাপশি সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল নিশ্চিত করা।
৬. সকল নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাটে পুলিশ, র‌্যাব, কোষ্টগার্ড ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৭. গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বন্দরসমূহ ও লঞ্চঘাটে সিসিটিভি স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৮. নৌ-পথে যাত্রীদের সেহরী ও ইফতারিতে সাশ্রয়ীমূল্যে মানসম্পন্ন খাবার ও নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা।
৯. নৌ-পথে সকল প্রকার অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধে সমুদ্র পরিবহণ অধিদফতর, বিআইডাব্লিউটিএ, ভোক্তা অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্ময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা।
১০. সকল লঞ্চ টার্মিনাল ও নৌ-বন্দরের গণশৌচাগার ও অজুখানায় পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
১১. ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারী বন্ধ করা। টিকিট দিয়ে ভাড়া আদায় নিশ্চিত করা।
১২. ঈদযাত্রায় রাতে সকল প্রকার বালুবাহী ও পণ্যবাহী লঞ্চ চলাচল নিষিদ্ধ করা।
১৩. সদরঘাট থেকে গুলিস্থান পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত যানজট ও দখলমুক্ত করা।
১৪. রাতের বেলায় স্পিডবোড চলাচল বন্ধ রাখা। স্পিডবোডের যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করা।
১৫. লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে বয়া, বাতি ও মার্কিং ব্যবস্থা করা।
১৬. স্পেশাল সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা।
১৭. প্রতিটি লঞ্চে লাইফ জ্যাকেটসহ যাত্রী অনুপাতে অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিত করা।
১৮. প্রতিটি লঞ্চে লাইসেন্সধারী প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক, সারেং রাখার বিষয় নিশ্চিত করা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএইচ

ঈদযাত্রা যাত্রীকল্যাণ সমিতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর