‘পারিবারিক’ আসনেই হারলেন রাহুল
২৪ মে ২০১৯ ০৮:৫৭
লোকসভা নির্বাচনে কেরালার ওয়া আসনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে তাদের ‘পারিবারিক’ আসন হিসেবে পরিচিত আমেঠিতে আর কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ভারতজুড়ে যে বিজেপি ঝড়, তাতেই আসনটিতে হেরে গেছেন রাহুল।
উত্তর প্রদেশের আমেঠিকে বলা হতো গান্ধী পরিবারের আসন। এই আসনে ১৯৮০ সাল থেকেই টানা জয় পেয়ে আসছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। রাহুল গান্ধীর চাচা সঞ্জয় গান্ধীকে দিয়ে শুরু। এরপর বাবা রাজীব গান্ধী ও মা সোনিয়া গান্ধী মিলে টানা ছয় নির্বাচনে আসনটি ধরে রেখেছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে টানা জয় পেয়েছিলেন রাহুল নিজেও। দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর সেই আসনটিই হাতছাড়া হলো গান্ধী পরিবারের।
এবারের নির্বাচনে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ১২০ ভোটে হেরেছেন রাহুল। নির্বাচনে ইরানি পেয়েছেন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৮ ভোট। আর রাহুল পেয়েছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৪৭৮ ভোট।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ‘পারিবারিক’ এই আসনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন রাহুল। সেবার ইরানিতে ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন তিনি।
আমেঠিকে রাহুলের ভরাডুবিই এবারের এই জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেস ও তাদের জোট ইউপিএ’র ভরাডুবির প্রতীকী রূপও। কেরালা আর পাঞ্জাব ছাড়া বাকি প্রায় সবখানেই শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে তাদের। আর সবখানেই বিজেপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়জয়কার।
কংগ্রেসের এই দায়ভার অবশ্য নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে নিজে থেকে সরেও দাঁড়াচ্ছেন না তিনি। রাহুল বলেন, এই পরাজয়ের শতভাগ দায় নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। আমরা ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে বসব। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে আমাকে সরে দাঁড়াতে হবে কি না।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক এই নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। নির্বাচনের যে ফল এখন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ২০১৪ সালের চেয়েও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় বসবেন মোদি। জোট বাদ দিলেও তার নিজের দল বিজেপিই এবার তিন শতাধিক আসন পাচ্ছে এই নির্বাচনে, যেখানে ক্ষমতায় বসতে হলে প্রয়োজন ২৭২ আসন।
সারাবাংলা/টিআর