পদ্মাসেতুতে ১৩ তম স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া শুরু
২৪ মে ২০১৯ ০৯:৩৯
ঢাকা: পদ্মাসেতুতে ১৩ তম স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাওয়া থেকে স্প্যান নিয়ে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের দিকে রওনা দিয়েছে ক্রেন। স্প্যানটি এক সপ্তাহ আগে বসানোর কথা থাকলেও লিফটিং ক্রেনের যান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রক্রিয়াটি দেরি হয়।
নদীর মাওয়া প্রান্তে আগে বসানো দশম স্প্যানের পাশে বসানো হবে ১৩তম স্প্যানটি। দুপুরের মধ্যে ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি বসানো শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ৬ মে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মাঝামাঝি স্থানে ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ১২তম স্প্যান।
পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং (এমবিইসি) জানায়, স্প্যান উঠানোর চেয়েও তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন সেতুর পিলার গড়ে তোলার কাজকে। স্প্যান বহনকারী ক্রেন দিয়ে সেতুর পাইলিং কাজ আগানোর কাজ চলছিল গেল কয়েক দিন। সেতুর ২৬২ পাইলের মধ্যে ২৩৬ টি পাইল ড্রাইভিং শেষ করা হয়েছে। বাকি থাকা ২৬ টি পাইল জুলাই মাসের মধ্যে শেষ করতে চাচ্ছেন তারা।
এদিকে, ঈদের আগে আরও একটি স্প্যান ওঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বিভাগের। ১৪তম স্প্যানটি বসলে সেতুর দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে।
১৪তম স্প্যান বসানোর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০মে। তখন দৃশ্যমান হবে সেতুর ২১শ মিটার অংশ। বাকি থাকবে আরও ২৭টি স্প্যান বসানোর কাজ। ৪১ টি স্প্যান ও ৪২টি পিলারে হবে ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্বপ্নের পদ্মাসেতু।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ। আর নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ ভাগ। সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ।
পদ্মা সেতুর মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩ টি স্প্যান ছিল। এর মধ্যে ১২ টি স্প্যান পিয়ারের উপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি স্প্যানগুলো চীনে নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্ট পাইলিং ও পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। এখন পিয়ার ক্যাপ ও গার্ডার স্থাপনের কাজ চলছে।
নদী শাসন কাজের মোট ছয় কিলোমিটারের মধ্যে তিন কিলোমিটার শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৪ কিলোমিটার শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।।
সেতু বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের শেষ দিকে শেষ হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু গড়ে তোলার কাজ।
সারাবাংলা/এসএ/জেএএম