১২ লাখ টাকায় প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস, ২২ জনের সাজা
২৪ মে ২০১৯ ১৬:১৪
ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ২২ সদস্যকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরা ১২ লাখ টাকা চুক্তিতে একেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বলে র্যাব জানিয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা, ১৬ জন পরীক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৪ মে) সকালে সাতক্ষীরা থেকে ২০ জনকে আটক করে র্যাব-৬। লক্ষ্মীপুর থেকে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে যাচাই-বাছাই শেষে দুই জেলাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরায় ২১ জনকে ও লক্ষ্মীপুরে একজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২২ জনের মধ্যে মূল হোতা পাঁচজন হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার পরানখালি গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম, সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঝাপাঘাটা গ্রামের জনতা ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান, একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, একই উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের রইছ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক তরিকুল ইসলাম।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ নুর সালেহীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া থানার পাশে সোনালী সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ নারীসহ ২৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তালা উপজেলার ধানদিয়া এলাকা থেকে আব্দুল হালিম নামে আরও একজনকে আটক করা হয়।
এর মধ্যে ২১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়। বাকি আটজন অভিভাবকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, আমরা জানতে পেরেছি ঢাকায় বসে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। এসব প্রশ্ন ও উত্তর লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এ জন্য সিন্ডিকেটের হাতে আগাম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা ছিল।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতারক চক্রটির কাছ থেকে যে প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার সঙ্গে মূল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।’
এদিকে শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার সময় লক্ষ্মীপুর জেলা পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষক রেজাউল করিম জেনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতেই এই শিক্ষককে আটক করা হয়। তাকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
চার ধাপের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথমধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার (২৪ মে)। দ্বিতীয়ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মে। তৃতীয়ধাপ ২১ জুন ও চতুর্থধাপের পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর/একে
প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্র প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য আটক