ঈদে যাত্রায় স্বস্তি দিতে সেতু, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস উদ্বোধন
২৫ মে ২০১৯ ১১:৫১
ঢাকা: বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সড়ক পথে যানজট নিরসন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রায় স্বস্তি ফেরাতে সেতু, একটি ফ্লাইওভার, একটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু। একইসঙ্গে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতু।
শনিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন এই প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করা হয়। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় সারাদেশে একটা যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি। সড়ক, নৌ, রেল ও বিমানসহ সব দিকেই মানুষের যোগাযোগটা যেনো সহজ হয়ে যায় সেই চেষ্টা করছি। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আরও এগিয়ে নেবো।’
বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে ২০১৬ সালের শুরুতে গোমতী দ্বিতীয় ও মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সেতুগুলোর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাত মাস আগেই সেতু দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও এ পথে থেকে যায় দুই লেনের গোমতী ও মেঘনা সেতু। ফলে সেতু দুটিতে ওঠার সময় এর দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। মেঘনা ও গোমতীতে দ্বিতীয় সেতু চালু হলে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। ঈদের আগেই সেতু দুটি খুলে দেওয়ায় দীর্ঘদিনের যানজটের ভোগান্তি লাঘব হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৯৫০ মিটার বা প্রায় এক কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১ হাজার ৪১০ মিটার বা প্রায় দেড় কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মি. হিরোয়াসু ইজুমি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
সারাবাংলা/এনআর/জেএএম