হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ
২৬ মে ২০১৯ ০১:৩৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প প্রজাতির মা মাছ। তবে পরিমাণে আগের বছরের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রুহুল আমিন জানান, শনিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে হালদা নদীর চারটি পয়েন্টে মা মাছ ধীরে ধীরে ডিম ছাড়তে শুরু করে বলে। তবে রাত ১২টার দিকে পূর্ণমাত্রায় ছাড়ার পর জেলেরা ডিম সংগ্রহে নেমে পড়েন বলে জানান ইউএনও।
যে চারটি পয়েন্টে মা মাছ ডিম ছেড়েছে সেগুলো হল- রামদাস মুন্সীর হাট, খলিফার ঘোনা, নাপিতের ঘোনা ও আজিমের ঘাট।
হালদা নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাতে জোয়ার আসার পর মা মাছ ডিম ছেড়ে দিয়েছে। তবে পরিমাণে একেবারেই কম। জোয়ার আরও একঘণ্টা আছে। ভাটার টানেও অনেকসময় ডিম ছাড়ে। এই সময়ের মধ্যে আরও ডিম ছাড়তে পারে।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হালদা’র সদস্য এস এম মুজিব সারাবাংলাকে বলেন, ‘নদীতে এই মুহুর্তে প্রায় ৩৫০ টি নৌকা আছে। এসব নৌকায় করে জেলেরা মাছের ডিম সংগ্রহ করছে।’
ইউএনও রুহুল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, জেলেদের কেউ এক বালতি, কেউ ২-৩ বালতি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেছেন। একেকজন ৫-৬ কেজি পর্যন্ত সংগ্রহ করেছেন। আরও ডিম ছাড়ার অপেক্ষায় নদীতে আছেন জেলেরা।
চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রায় ৯৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আছে হালদা নদী। প্রতি বছরের চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে পূর্ণিমা-অমাবস্যার তিথিতে বজ্রসহ বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামে হালদা নদীতে। আর তখনই তাপমাত্রা অনুকূলে থাকলে ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মাছ। সাধারণত মধ্য এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ।
অনুকূল পরিবেশে শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯টার দিকে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ।
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন