Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে


২৬ মে ২০১৯ ১৩:৪৬

মানিকগঞ্জ: মরিচ চাষে বিখ্যাত জেলা মানিকগঞ্জ। এখানকার কাঁচামরিচ রাজধানীসহ আশপাশের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে দেশের বাইরে রফতানি হচ্ছে। মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০ টন মরিচ মালয়েশিয়া, কুয়েত, রিয়াদ, দুবাই, সিঙ্গাপুর, কাতার, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে বলে জানালেন স্থানীয় আড়তদাররা।

 মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, মানিকগঞ্জ জেলার  মরিচের মান ভাল হওয়ায় প্রতিদিন তা প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এতে  ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এবার ঝড় বৃষ্টি ও প্রচণ্ড খড়ায় মানিকগঞ্জের মরিচের ফলন তেমন ভাল হয়নি বলেও জানান তিনি।

এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মানিকগঞ্জের প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই মরিচের চাষাবাদ হয়। তবে ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলায় মরিচের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। অনুকূল আবহাওয়া আর ভালো পরিচর্যায় মরিচের ফলন বেশি হয়। গত মৌসুমে জেলার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হলেও এ  মৌসুমে আবাদ হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে।

মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাটে সরেজমিন দেখা যায়, মরিচচাষিরা শত শত মণ কাঁচামরিচ বেচাকেনা করছেন। পাইকাররা প্রতিদিনই এখানকার মরিচ নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকার কারওয়ান বাজার, বখশিবাজার, সাভার, আশুলিয়া, জিরাব, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

স্থানীয়রা জানান, মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাটের তাজউদ্দিন, জহিরুল হক, মোফাজ্জল হোসেন ও শফি মিয়ার আড়ত থেকে বিদেশে মরিচ রফতানি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আড়তদার তাজউদ্দিন প্রায় ২৫ বছর ধরে মরিচ বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত আছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে বরংগাইল হাট থেকে ৩০ টন কাঁচামরিচ বিদেশে রফতানি হচ্ছে। গতবার যে মরিচ গড়ে ১২ টাকা কেজি দরে কিনেছিলাম এবার সেই মরিচ কিনতে হচ্ছে গড়ে ৩৫ টাকা কেজিতে।

তিনি জানান, তার আড়তে প্রতিদিন ১১ জন শ্রমিক রফতানির জন্য মরিচগুলো বাছাই করে ওজন করে তারপর  তা প্যাকেটজাত করে। 

বরংগাইল হাটের আড়তদার জহুরুল হক জানান, মানিকগঞ্জের উৎপাদিত বিন্দু জাতের মরিচের বিদেশে চাহিদা বেশি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় এখান থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ মরিচ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও বেশি মরিচ বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।

শিবালয় উপজেলার শাকরাইল গ্রামের মরিচ চাষি জিয়াউর রহমান জানালেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে তিনি মরিচ আবাদ করেছেন। ফলন কম হয়েছে। তবে দাম ভাল পাচ্ছেন।

 সারাবাংলা/এমএইচ/জেডএফ 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর