Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবি ছাত্রলীগ নেতা আলী মর্তুজা হত্যা মামলায় রায় পেছাল


২৮ মে ২০১৯ ১৪:৫৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগ নেতা আলী মর্তুজা চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে। আগামী ২০ জুন এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) চাঞ্চল্যকর এই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ছিল। কিন্তু আদেশ প্রস্তুত না হওয়ায় চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম নতুন দিন ঠিক করেন।

বাদির আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই রায়ের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারানো আলী মর্তুজা চৌধুরীর পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ ছড়ারকুল এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আলী মর্তুজা চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মর্তুজা শিবির নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন চবি শাখা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহতের বড় ভাই আলী নাসের চৌধুরী বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন।

রায় ঘোষণার সময় নির্ধারণের পর আলী নাসের চৌধুরী বলেন, ‘আশা করি আমাদের অপেক্ষার অবসান হবে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

মামলার এজাহারে আটজনকে আসামি করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ২০০৪ সালে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। আসামিরা হল- সেসময়ে প্রতাপশালী শিবিরের ক্যাডার হাবিব খান, হাসান, ইসমাইল, গিট্টু নাছির, আইয়ুব আলী, সাইদুল ইসলাম, তসলিম উদ্দিন মন্টু এবং আলমগীর ওরফে বাইট্টা আলমগীর।

আসামিদের মধ্যে শুধু তসলিম উদ্দিন মন্টু এবং আলমগীর কারাগারে আছেন। হাবিব খান শুরু থেকেই পলাতক। জামিনে গিয়ে পলাতক হয়েছেন হাসান ও ইসমাইল। র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন গিট্টু নাছির। গণপিটুনিতে মারা যান আইয়ুব আলী এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান সাইদুল ইসলাম।

মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১৬ সালে মামলার ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর সাক্ষ্য সমাপ্ত ঘোষণা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি এখন রায় ঘোষণার পর্যায়ে এসেছে।

মর্তুজার রাজনৈতিক সহকর্মী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মর্তুজা ভাই ছিলেন ক্যাম্পাসে অসম্ভব জনপ্রিয়। ছাত্রলীগের কর্মীদের কাছে তিনি অভিভাবকের মতো ছিলেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে দুর্বল করতে শিবির পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের পর আমরা আন্দোলন করে আট মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রেখেছিলাম। ১৮ বছর ধরে আমরা এই হত্যার বিচারের অপেক্ষায় আছি। আমরা আসামিদের ফাঁসি চাই।’

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

আলী মর্তুজা চৌধুরী হত্যা মামলা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর