Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেপ্টেম্বরে উৎপাদনে আসছে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র


২৯ মে ২০১৯ ০৮:১১

ঢাকা: আগামী সেপ্টেম্বর শেষে উৎপাদনে আসছে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নির্ধারিত সময়ের ৫ মাস আগেই কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হচ্ছে। এটি সরকারি খাতে এ যাবতকালের মধ্যে সর্ববৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেপ্টেম্বরে উৎপাদনে আসলেও পুরোদমে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে নভেম্বর মাসে। এছাড়া ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার অন্য ইউনিটটি ২০২০ সালের আগেই উৎপাদনে আসবে। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এ এম খোরশেদুল আলম এ প্রসঙ্গে সারাবাংলা’কে বলেন, আমরা আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরে একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারবো। এই সময়ের মধ্যে কিছু কাজ বাকি আছে তা শেষ করে ফেলা হবে। তবে, পুরোদমে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়ের ৫ মাস আগে কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসছে। অন্য ইউনিটটি ২০২০ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসবে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী বছরের মে মাসে উৎপাদনে আসার কথা ছিল। কিন্তু আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কেন্দ্রটির একটি ইউনিটের কাজ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ ৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি কয়লা আমদানি করতে ইন্দোনেশিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদে চুক্তি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এই কেন্দ্রের মূল জ্বালানি কয়লা। এই কয়লা আমদানি করতে আমরা এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০ বছরের জন্য চুক্তি করেছি। আগামী মাস থেকে কয়লা আমদানি শুরু হবে।

সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে নেওয়া মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এরমধ্যে কয়লা ভিত্তিক ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। বর্তমানে শুধুমাত্র বড়পুকুরিয়ায় ২৫০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, সরকার পটুয়াখালীর পায়রা এলাকায় বিদ্যুতের হাব স্থাপন করা হবে। এখানে মোট ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। সব মিলিয়ে ১২ বিলিয়ন ডলার বা ৯৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পায়রা পাওয়ার প্লান্টে বাংলাদেশ এবং চীনের সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে। দেশিয় নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) গঠিত বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসিএল) কেন্দ্রটির মালিক। এতে চীনের এক্সিম ব্যাংক বিনিয়োগ করছে।

পায়রা বিদ্যুৎ হাবে এনডব্লিউপিজিসিএল ৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে। এর মধ্যে সিএমসির সঙ্গে সমান অংশীদারিত্বে আরো এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট এবং জার্মানির সিমেন্স এজির সঙ্গে তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াট এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।

এছাড়াও রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন লিমিটেড আরো একটি একই ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম

পাওয়ার প্ল্যান্ট পায়রা বিদ্যুৎ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর