Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তেলের ট্যাংকারে ইরান হামলা করেছে তা প্রায় নিশ্চিত: যুক্তরাষ্ট্র


২৯ মে ২০১৯ ১৬:২৪

মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ইরানের নৌবাহিনীর মাইন হামলায় আরব আমিরাত উপকূলে তেলের ট্যাংকারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত। বোল্টন বলেন, এই ঘটনায় দায়ীদের খুঁজতে গিয়ে ওয়াশিংটনের মাথায় ইরান ছাড়া অন্য কেউ নেই। কে আর এই কাজ করতে পারে? নিশ্চয়ই নেপালের কেউ নয়! তবে বোল্টন তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। খবর বিবিসির।

গত শুক্রবার ইউএস ভাইস অ্যাডমিরাল গিলডে বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতাদের যোগসাজশে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরান ‘উসকানিমূলক’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের এধরনের দাবি অস্বীকার করে আসছে।

এর আগে, গত ১২ মে হরমুজ প্রণালী সংলগ্ন ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরের নিকটে ৪টি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে ক্ষতি করা হয় বলে দাবি করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত। হামলার শিকার হওয়া দুটি জাহাজ সৌদি মালিকানাধীন। অন্যদুটি নরওয়ের ও আর-আমিরাতের। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই সাগর পথে পরিবহন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ইরান হুমকি দিয়েছিল তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।

প্রসঙ্গত, ইরানকে উচ্চমাত্রার পরমাণু প্রযুক্তি ও বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে দেশটির সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করেছিল, ছয়টি বৃহৎ শক্তি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

তবে ২০০৮ সালের ৮ মে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে ‘এখনো হুমকি’ উল্লেখ করে ওই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। তখন পরমাণু চুক্তি বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে নতুন সংকট শুরু হয়।

এছাড়া, সম্প্রতি ইরানের এলিট বাহিনী ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানও গত ৮ মে ঘোষণা দেয় আবারও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের। তাই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নৌবহর ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানোর পদক্ষেপ নেয়। সর্বশেষ, মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটলো।

সারাবাংলা/এনএইচ

ইরান জন বোল্টন তেলের ট্যাংকারে হামলা যুক্তরাষ্ট্র


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর