Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চুরি-ডাকাতির স্বর্ণ যাচ্ছে গ্রামের দোকানে


২৯ মে ২০১৯ ১৭:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চুরি-ছিনতাই কিংবা ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার অপরাধীদের কাছ থেকে কিনছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট। অপরাধীরা গ্রামের স্বর্ণকারদের কাছে কম দামে বিক্রি করছে। তারপর নতুন আকৃতিতে আবার বাজারে আসছে এসব স্বর্ণালঙ্কার।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া একটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এক জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জবানবন্দিতে সংশ্লিষ্ট আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে বলে বুধবার (২৯ মে) সারাবাংলাকে জানিয়েছেন কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবায়ের সৈয়দ।

গত ২৯ এপ্রিল রাতে কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্ম্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় জনৈক সেলিমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। গত এক মাসে ডাকাতিতে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন, আতাউল করিম জ্যাকব, নূর মোহাম্মদ, আজাদ, নুরুচ্ছফা তালুকদার ও সেলিম।

জ্যাকব ও নূর মোহাম্মদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দি দেন। জবানবন্দির ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে গ্রেফতার করা হয় বাঁশখালী উপজেলার জলদি বাজারের জুয়েলার্স মালিক তড়িৎ কান্তি ধরকে। এদিন (বুধবার) দুপুরে চট্টগ্রামের একটি বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন তড়িৎ কান্তি ধর।

জোবায়ের সৈয়দ সারাবাংলাকে আরও বলেন, ‘ডাকাতি করা তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার জ্যাকব ও নূর মোহাম্মদ মাত্র ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় তড়িৎ কান্তি ধরের কাছে বিক্রি করেন। সেই স্বর্ণালঙ্কার গলিয়ে কিছুটা বিক্রিও করেছেন তড়িৎ। আরও এক ভরির মতো গলানো সোনা আমরা তার দোকান থেকে উদ্ধার করেছি।’

গ্রেফতার ৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনজনের জবানবন্দিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জোবায়ের সৈয়দ বলেন, চট্টগ্রাম নগরী এবং বিভিন্ন উপজেলায় জুয়েলার্স মালিকদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এরা চুরি-ডাকাতি করা স্বর্ণ কিনে নেয়। সাধারণত গ্রামাঞ্চলের দোকানিরাই প্রথমে কেনে। তারপর সেগুলো গলিয়ে নগরীতে অলঙ্কার তৈরির কারখানায় বিক্রি করে।

তড়িৎ-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চুরি-ডাকাতি করা স্বর্ণালঙ্কার কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/আরডি/এটি

চুরি ছিনতাই ডাকাতি সিন্ডিকেট স্বর্ণালঙ্কার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর