Tuesday 29 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী কারাগারে খুন


৩০ মে ২০১৯ ০১:৫৯ | আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ০৩:০৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের যুবলীগ নামধারী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী (৩২) কারাগারে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ধাঁরালো বস্তুর আঘাতে অমিত মুহুরী গুরুতর আহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বুধবার (২৯ মে) রাত ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অমিতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি রেজিস্ট্রার ডা.খুরশীদ আনোয়ার চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, রোগীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার মাথার উপরে এবং পেছনে গুরুতর জখম ছিল। ধারালো কিছুর অাঘাতে জখম হয়েছিল। ৩০টির মতো সেলাই দিতে হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর থেকে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

কারাগারের ভেতরে অমিতের আহত হওয়া নিয়ে মুখ খুলছেন না উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কেউ। তবে অমিতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষীরা জানিয়েছেন, কারাগারের ৩২ নম্বর সেলে ছিলেন অমিত। সেখানে থাকা অন্য এক বা একাধিক বন্দির হামলার শিকার হয়েছে।

ঘটনার পর কারাগারে যাওয়া নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, কারা অভ্যন্তরে রিন্টু নামে এক সন্ত্রাসী তাকে মাথায় আঘাত করে খুন করেছে বলে জানতে পেরেছি।

হাসপাতালে যাওয়া অমিতের বাবা অরুণ মুহুরী সারাবাংলাকে বলেন, রাত ১১ টার দিকে কারাগার থেকে আমাকে ফোনে জানানো হয়; অমিতকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এরপর আমি এখানে এসেছি। আমার ছেলেকে কারা খুন করেছে, আমি এর তদন্ত এবং বিচার চাই।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের পর ড্রামে ভরে এসিড দিয়ে লাশ গলিয়ে দিঘীতে ফেলার মামলায় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট অমিত মুহুরীকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালে সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে জোড়া খুনের মামলার আসামি অমিত মুহুরীকে ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে অমিত জামিনে বেরিয়ে আসে।

২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন নগরীর ডিসি হিলে পুলিশের উপর হামলা চালায় অমিত মুহুরী ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা। এরপর ২৮ এপ্রিল রাতে ঝাউতলায় স্থানীয় কিশোর–তরুণদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে অমিত মুহুরীর অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চিত্র ভিডিও ফুটেজে পেয়ে ২৫ মে তাকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। কিন্তু ২৬ জুন অমিত জামিনে বেরিয়ে আসে। এরপর বন্ধুকে খুন করে জেলে যায়।

সারাবাংলা/আরডি/আরএসও

কয়েদি খুন চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় কারাগার