বাজেটে জলবায়ু খাতে বছরে ৫ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি
৩০ মে ২০১৯ ১৭:৩২
ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য মাত্র ১০ শতাংশ বরাদ্দ যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে এ খাতে বরাদ্দ ৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাকশন এইড আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০, জলবায়ু রেজিলিয়েন্স অর্জনের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় যে ১০ শতাংশ বরাদ্দ বণ্টন দেখানো হয়েছে, সেটা যথেষ্ট নয়। কারণ দুর্যোগ মোকাবিলায় বাজেটের বরাদ্দ থেকে পাঁচ থেকে সাত শতাংশ খরচ করা সম্ভব হয়, বাকিটা খরচ হয়ে যায় ব্যবস্থাপনায়। বাংলাদেশ যদি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে চায়, তাহলে দুর্যোগ মোকাবিলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি বিপদাপন্ন অবস্থায় আছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম।’
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. সলিমুল হক বলেন, ‘জলবায়ু সম্পর্কিত বাজেট ঠিক ভাবে বণ্টন হচ্ছে কিনা, যেই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেটা ঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কিনা, এটা নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা জানি উপকূলীয় অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকলেও অঞ্চলভেদে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে নরসিংদী। তাছাড়া জলবায়ু বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ বেশি রাখা হয়েছে। কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও অনেক কিছু সম্পর্কিত।’
দুর্যোগ মোকাবিলায় সাংসদীয় কমিটিকে আরও জোর ভূমিকা পালন করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর মোকাবিলা বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। সমন্বয়হীনতার ফলে এই বাজেট ও পরিকল্পনা খুব বেশি কার্যকর হয় না। বাংলাদেশই সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে ইউনাইটেড নেশনের কাছে ন্যাশনাল এডাপশন প্ল্যানের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। কিন্তু চার বছরেও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।’
এ সময় বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে শশাংক সাদী ও মিজানুর রহমান বিজয় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তনের কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে নতুন পরিকল্পনা ব্যয় নির্ধারণ করা, জলবায়ু রিপোর্ট খরচের একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা, সরকার ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে যৌথ মনিটরিং টাস্কফোর্স তৈরি করে জলবায়ু বাজেট, রিপোর্টিং, মনিটরিং জোরদার করাসহ ইত্যাদি।
সারাবাংলা/ওএম/এমও