ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে মুরগি ও মসলার দাম
৩১ মে ২০১৯ ১১:৫২
ঢাকা: ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। আর ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগি ও বিভিন্ন মসলার দাম।
কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাকিস্তানি কক কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-২৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ২৪০-২৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৩০-১৩৫ টাকা। তবে, খাসি ও গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫২৫ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
মুরগির মাংসের দাম প্রসঙ্গে কারওয়ানবাজারের আল্লাহরদান চিকেন ব্রয়লার হাউসের মালিক সোহেল সারাবাংলাকে বলেন, মুরগির সরাবরাহ কম। বাজারে মুরগি না আসলে আমাদের তো আর কিছুই করার থাকে না। সামনে ঈদ রাস্তায় যানজট বেশি। সেজন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরগি আসতে পারছে না। তাই, বেশি দামে পাইকারদের কাছ থেকে মুরগি কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদেরও বেশি দামেই ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মুরগির দাম কেমন জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হুমায়রা খানম সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের কি আর করার আছে। শুধু মুরগি না সবজির বাজারও চড়া। মধ্যম পরিবারের আমাদের বেঁচে থাকার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। হয়তো আর কয়েক বছর পর ঢাকাতে থাকাও যাবে না। সরকারের উচিত বাজার মনিটরিংয়ে জোর দেওয়া নয়তো সামনে সবকিছুর দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার হাতের নাগালের বাইরে। এলাচের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫শ টাকা। কয়েকদিন আগেও যে এলাচ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ২৪০০ টাকা বর্তমানে এলাচ কেজি প্রতি ২৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি জয়ত্রী ২৪০০ টাকা, যা কিছুদিন আগেও ছিলো ২০০০ টাকা। পেস্তা বাদাম ২২০০ টাকা যা কিছুদিন আগে ছিলো ১৮০০-১৯০০ টাকা। লবঙ্গ মানভেদে ৮৫০-৯০০ টাকা যা রমজানের শুরুতেও ছিলো ৭০০-৭৫০ টাক। কিসমিস কেজি প্রতি ৪শ টাকা যা রমজানের শুরুতে ছিলো ৩শ টাকা।
মসলার দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিন বিশ্বাস সারাবাংলাকে বলেন, দাম বেড়েছে কারণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা তো আর ইচ্ছা করে দাম বাড়ায় না। পাইকারি বাজারে যেমন বিক্রি হবে আমরা খুচরা বাজারে তেমন বিক্রি করব।
অন্যদিকে, ঈদের আগে সবজির বাজারেও আগুন তাপ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, ১০ টাকা কেজি প্রতি বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ১০ টাকা কেজিতে বেড়ে শশা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পটল ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ২০ টাকা কেজিতে বেড়ে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ১৫টাকা কেজিতে বেড়ে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ২০ টাকা কেজিতে বেড়ে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ১০ টাকা কেজিতে বেড়ে করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা রাশেদুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, সারাদেশ থেকে সবজি ঢাকায় কম আসছে। সেজন্য দাম বেশি। গত সপ্তাহে যে বেগুনের কেজি কিনেছি ৩৫ টাকা সেটা আজ কিনেছি ৬৫ টাকা। তাহলে, বলেন আমরা কিভাবে বিক্রি করব। আমরা যেমন কিনি তেমনিই বিক্রি করি। সুতরাং বাজারে পণ্য বেশি থাকলে দাম কমে আর কম থাকলে দাম বাড়ে।
সারাবাংলা/এসজে/জেএএম