মন্ত্রীকে পাটকল শ্রমিকদের ধন্যবাদ, মন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীকে
৩১ মে ২০১৯ ১৬:০১
ঢাকা: বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় ২৬ হাজার স্থায়ী শ্রমিক ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও বোনাস পেয়েছেন। আর এই বেতন বোনাস পেয়ে খুশি দেশের পাটকল শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলছেন, এতো কিছু সম্ভব হয়েছে বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতীক) ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক বান্ধব। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের দুঃখ কষ্টের কথা বিবেচনায় এনে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব উদ্যোগেই ঈদের আগে শ্রমিকদের মজুরি ও ঈদ বোনাসের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য, প্রধানমন্ত্রীকে পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকল শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা জানাই।’
ঈদ সামনে রেখে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে গত ২৭ মে ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার ‘থোক বরাদ্দ’ দেয় সরকার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শ্রমিকদের ১৬৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা বকেয়া বেতন তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে চলে গেছে। এতেই তাদের খুশির কথা জানিয়েছেন পাটকল শ্রমিকরা।
দীর্ঘদিন ধরে মজুরি না পাওয়ায় নয় দফা দাবিতে আন্দোলন চলছিলো সারাদেশের পাটকল শ্রমিকদের। অবশেষে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে বিজেএমসিকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় শ্রমিকদের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে। বর্তমানে মজুরি এবং ঈদ বোনাস পেয়ে খুশি দেশের সকল পাটকল শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মজুরি ও ঈদ বোনাসের টাকা চলে গেছে জানিয়ে বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম সারাবাংলাকে বলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রচেষ্টায় আমরা শ্রমিকদের ঈদের আগে মজুরি ও বোনাস দিতে পেরেছি। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শ্রমিকদের সমস্যাগুলো নিয়ে দেখা না করতেন তাহলে আমরা কখনো শ্রমিকদের আন্দোলন থামাতে পারতাম না। একই সাথে ঈদের আগে হাজারও শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোঁটাতে পারতাম না। আমরা সামনের দিনগুলোতে পাটশিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাব। আশা করি পাট শিল্পের দূর্দিন বেশি দিন থাকবে না।
শ্রমিকদের দাবির মধ্যে ছিলো, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া টাকা প্রদান, টার্মিনেশন ও বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ীকরণ, মৌসুমের সময় পাট কিনতে অর্থ বরাদ্দ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করা।
বকেয়া বেতন ও বোনাস পাওয়ার দেশের প্রধানতম পাটকল শ্রমঘন এলাকা খুলনার খালিশপুরে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানকার শ্রমিকরা তাদের অতীতের সকল ক্ষোভ ভুলে নতুন উদ্যমে কাজে নামার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। শ্রমিকরা বলেছেন মজুরি বোনাস বকেয়া থাকার কারণে বছরের পর বছরের তারা আনন্দে ঈদ করতে পারেন নি। এবছর তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে ঈদ কাটাতে পারবেন।
সারাবাংলা/এসজে
গোলাম দস্তগীর গাজী পাটকল শ্রমিক প্রধানমন্ত্রী বকেয়া বেতন বেতন-বোনাস