দামের চেয়ে পছন্দই মুখ্য, গুলশানের শপিংমলগুলোতে
১ জুন ২০১৯ ০৯:৩১
ঢাকা: রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের শপিংমল গুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সব দোকানেই লেগে আছে ক্রেতাদের ভিড়। অধিকাংশ মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে লাখ টাকা মূল্যের পোশাক। কোনো কোনো দোকানে দেখা গেছে ৪ লাখ টাকা মূল্যের শাড়িও। এছাড়া এক একটি পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। শুক্রবার (৩১ মে) গুলশানের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
গুলশানের পিংক সিটি, নাভানা টাওয়ার, শপার্সওয়াল্ড ও প্রেমস কালেকশনে শুক্রবার দুপুরেও ক্রেতাদের ভিড় ছিল। অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা ঘুরে ঘুরে কিনছেন নিজের পছন্দের পোশাক। আর ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে দোকানে তত ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের।
গুলশানের প্রেমস কালেকশনে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকার পাঞ্চাবি। আর এই হাউজটির কালেকশনে রয়েছে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দামের শাড়িও। হাতে কাজ করা পথর বসানো শাফিন শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। আর ভারতীয় কাঞ্জিভরম শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪ লাখ টাকায়।
দোকানীরা জানালেন, ২০ বছর পরও এ জাতীয় শাড়ির রং পরিবর্তন হবে না। এমনকি শাড়িতে ময়লা লাগারও শঙ্কা নেই। আর আকাকচুম্বী দামের এই শাড়িতে করা হয়েছে গোন্ড পলিশ। প্রেমস কালেকশনের অ্যাডমিন সাঈদ খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে অন্য সময়ের চেয়ে বেচাকেনা বেশি। তবে সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের বাড়িতে ভিড় বেশি থাকে।’
গুলশানের পিংক সিটির সব দোকানেই দেখা মিলছে উচ্চমূল্যের পোশাক। গুলশান শাড়ি নামের দোকানটিতে বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ টাকা মূল্যের শাড়ি। উচ্চ মূল্যের ভারতীয় কাঞ্জিভরম শাড়ির প্রতি নারীদের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া শপিং মলটিতে দেখা গেছে লাখ টাকা দামের পাঞ্চাবিও।
‘গুলশান শাড়ি’তে আরও রয়েছে মাদ্রাজি কাতান, দিল্লী লেহেঙ্গা, লেহেঙ্গা, ঢাকাই জামদানি, খাদ্দি কাতান। এসব শাড়ির মূল্য ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার পর্যন্ত। দোকানীরা জানালেন, ঈদ উপলক্ষ্যে অন্য সময়ের চেয়ে এখন বেচাকেনা বেশি।
টাঙ্গাইলের শাড়ির খ্যাতি সারাদেশ জুড়েই। ঐতিহ্য রয়েছে গুলশানের টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরেরও। দোকানীরা জানালেন, নিজস্ব কারিগর দিয়ে তৈরি হয় তাদের শাড়ি। এতে বেশি দেখা মেলে অ্যান্ডি ও হাফ সিল্কের ভেজিটেবল ডাইয়ের শাড়ি। দাম ১৬০০ থেকে ৫ হাজার ৫০ টাকা। এছাড়া ডেমরায় নিজস্ব কারিগরের হাতে তৈরি এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের জামদানি শাড়ি মিলছে ৪১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকায়। সিল্কের তৈরি ছেলেদের পাঞ্জাবিও পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
গুলশানের বিভিন্ন শপিং মলে ভিড় করছেন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, তারকাসহ ভিআইপি শ্রেণির ক্রেতারা। পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন অনেকেই। অর্থের চেয়ে পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে কিনছেন লাখ লাখ টাকার বিলাস দ্রব্য। সব মিলিয়ে এলাকাটিতে এখন চলছে জমজমাট ঈদ কেনাটাকা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই