Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদে জমজমাট টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লি


১ জুন ২০১৯ ১২:১১

টাঙ্গাইল: বৈচিত্র্য, নতুনত্ব ও বাহারি ডিজাইনের কারণে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির সুনাম নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। ঈদ কিংবা পূজা-পার্বণে এই শাড়ির চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে একইভাবে বেড়েঠে এই শাড়ির চাহিদা। আর সে চাহিদা মেটাতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লিগুলো।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজা শুরুর পর থেকেই শাড়ি বিক্রির ধুম পড়েছে পাথরাইল, বাজিতপুর, পুটিয়াজানি, আকন্দপাড়া, গাড়াইল ও বেড়াইসহ বিখ্যাত তাঁতপল্লিগুলোতে। সারাদেশের ক্রেতারা ভিড় করেছেন শাড়ি কিনতে। পাওয়া যাচ্ছে সূতি, জামদানি, সফ্ট সিল্ক, ধানসিঁড়ি, বালুচুরি, গ্যাস সিল্ক, স্বর্ণকাতান ও দোতারির মতো নানা ধরনের শাড়ি। বরাবরের মতো এবারও ঈদ সামনে রেখে আনা শাড়ির রঙ আর ডিজাইনে এসেছে বৈচিত্র্য।

বিজ্ঞাপন

একই অবস্থা দেখা গেছে টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ির একমাত্র হাট বাজিতপুরে। প্রতি শুক্রবার ও সোমবারের এই শাড়ির হাটে ভিড় করেছেন সারাদেশ থেকে আসা পাইকারি ক্রেতারা। খুচরা ব্যবসায়ীরাও শাড়ি কিনতে আসছেন এই হাটে। পাইকারি ক্রেতারা বলছেন, এই হাটের শাড়ির চাহিদা সারাদেশে। তাই এখানে বিভিন্ন জেলার পাইকারি ও খুচরা শাড়ি ব্যবসায়ী ক্রেতাদের দেখা মিলবে।

বাজিতপুর শাড়ির হাটে শাড়ি কিনতে আসা বগুড়ার ব্যবসায়ী আফতাবুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর রোজার ঈদের আগে আমার শো-রুমের জন্যে শাড়ি কিনতে এখানে আসি। ঈদে বগুড়ায় টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি বিক্রি খুবই ভালো।

কেবল ব্যবসায়ীরা নয়, একটু কম দামে ভালো শাড়ি কিনতে টাঙ্গাইলের স্থানীয়রাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে খুচরা ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন এই হাটে। খুচরা ক্রেতারা বলছেন, ঈদে পরিবারে সব সদস্যের জন্যই শাড়ি লাগে। এই হাটে এলে একটু দেখে-শুনে সবার জন্য কম দামেই ভালো শাড়ি কেনা যায়। তাছাড়া বিয়ে বা পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকলে একসঙ্গে অনেক শাড়ি কিনতে হয়। এ ধরনের আয়োজনের বড় বড় দোকান থেকে শাড়ি না কিনে জন্য হাট থেকে শাড়ি কেনাটাই লাভজনক।

বিজ্ঞাপন

টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে হাটে এসেছিলেন জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পাথরাইল থেকেই শাড়ি কিনে থাকি। অনেকগুলো শাড়ি কিনলে অনেক টাকাও বেঁচে যায়। এখানে যে দামে শাড়ি কিনতে পারি, দোকানে গেলে তা কোনোভাবেই সম্ভব না।

ক্রেতারা জানান, এ বছর ঈদ উপলক্ষে শাড়ির দাম খুব একটা বাড়েনি। মান ও নকশাভেদে একেকটি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকায়। ক্রেতা-বিক্রেতা— দুই দলই জানালেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে এ বছর সুতির শাড়ির চাহিদা বেশি।

টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ির ডিজাইনার ও শাড়ি ব্যবসায়ী নীল কমল বসাক বলেন, প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে কাপড় আর রঙের সন্নিবেশে এবার শাড়ি তৈরি করেছেন তাঁতিরা। আর দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। এখানে তাঁতিরা সমাজের সব স্তরের ক্রেতাদের আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই শাড়ি তৈরি করে। যে কারণে সব শ্রেণির ক্রেতাই শাড়ি কিনতে এখানে আসে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ঈদে ক্রেতারা যেমন স্বাচ্ছন্দ্যে পছন্দের শাড়ি কিনতে পারবেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও লাভের মুখ দেখেই ঈদ পালন করতে পারবেন।

সারাবাংলা/এনএইচ

ঈদ বাজার টাঙ্গাইল শাড়ি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর