৫ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা পাবে না ভারত
১ জুন ২০১৯ ২৩:৪৯
ভারতকে দেওয়া জেনারালাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স বা জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জিএসপি সুবিধার কারণে ভারত লাভবান হলেও এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লাভ নেই— এমন অভিযোগ তার। আর সে কারণেই আগামী ৫ জুন থেকে ভারত আর এই সুবিধা পাবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মার্কিন স্থানীয় সময় শুক্রবার দেওয়া ট্রাম্পের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় শনিবার নয়াদিল্লির বিবৃতিতে বলা হয়, দুই পক্ষেরই সমান সুবিধা নিশ্চিতের জন্য তারা সমাধান বের করেছিল। তবে সেই সমাধান মার্কিন সরকার গ্রহণ করেনি।
জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স বা জিএসপি মূলত একটি বাণিজ্য শর্ত, যার মাধ্যমে একটি দেশ অন্য একটি দেশে পণ্য রফতানিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ পায়। এতদিন জিএসপি সুবিধার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানিতে সুবিধা পেয়ে আসছিল ভারত। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই লাভবান হচ্ছিল না— এমন অভিযোগে এই সুবিধা স্থগিতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। আর এই ঘোষণা এমন একটি সময় এলো যখন চীনের মোবাইল জায়ান্ট হুয়াওয়ের সঙ্গে মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগলের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কও তিক্ততায় রূপ নিয়েছে।
ভারতের কাছ থেকে জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বিবৃতিতে বলেন, ভারত তাদের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সমান ও যৌক্তিক প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি— এ বিষয়টি স্পষ্ট। আর সে কারণে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারত যে সুবিধাগুলো পেয়ে আসছিল, সেই সুবিধাগুলো প্রত্যাহার করাটাও যুক্তিযুক্ত, যা ৫ জুন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, গত ৪ মার্চ ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ভারত যে জিএসপি সুবিধা পেয়ে আসছে তা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জন্য দুই মাস সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। গত ৩ মে সেই দুই মাসের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পর ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে, জিএসপি সুবিধা না পেলে বছরে প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত। এই সুবিধা ব্যবহার করে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা ৫০৭ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্যে ১৯০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক ছাড় পেয়েছিল ভারত। তবে জিএসপি প্রত্যাহার করা হলে তারা আর শুল্ক ছাড় পাবে না।
আর নয়াদিল্লি বলছে, ভারত সবসময় জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে চলবে। দেশের মানুষ সবসময় আরও ভালোভাবে বাঁচতে চায়। সেটি মাথায় রেখেই ভারত সরকার নীতি নির্ধারণ করবে।
সারাবাংলা/টিআর