দিনের শুরুতেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়
২ জুন ২০১৯ ০৯:৩০
ঢাকা: ঈদযাত্রায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রীরা। গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশে ভোরের আলো না ফুটতেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যাওয়া যাত্রীরা এখন কেবল ট্রেনের অপেক্ষা করছেন।
স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারবে না। এর মধ্যে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরি করে কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়বে, ধূমকেতু ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়বে দুই ঘণ্টা দেরিতে।
ফলে রোববার (২ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম ছিল লোকে লোকারণ্য। ঈদযাত্রার শুরুতেই এই বিড়ম্বনা রীতিমতো আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে তাদের।
কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় শোভনের সঙ্গে। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সীমান্তবর্তী চিলাহাটি যাবেন তিনি। সারাবাংলাকে শোভন বলেন, এক দেড় ঘণ্টা ট্রেন লেট করলে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু সেটা যদি ৫/৬ ঘণ্টা হয়ে যায় তাহলে তো মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা স্টেশনে সকাল হওয়ার আগেই এসে অপেক্ষা করছি তারা আবার বাসায় ফিরে যাবো কি যাবো না সেটাই বুঝতে পারছি না।’
সকাল ৬টায় ধূমকেতু এক্সপ্রেসের ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল, তবে সেটি ছেড়েছে সোয়া ৮টায়।
সবচেয়ে বেশি দেরি করছে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এই ট্রেনের কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় সকাল ৮ টা। কিন্তু সেটি বেলা ১২টায় ছাড়বে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক সারাবাংলাকে বলেন, গন্তব্যস্থল থেকে ছাড়তে দেরি করায় ট্রেনগুলো কমলাপুরে পৌঁছতেই দেরি করছে, ফলে ফিরতি ট্রেন হয়ে সেটির কমলাপুর ছাড়তে দেরি হচ্ছে। তবে বিকেলের ট্রেনগুলোর শিডিউল ঠিক থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
সারাদিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩৭ টি আন্তঃনগরসহ ৫২ টি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এসব ট্রেনে প্রায় ৩০ হাজার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটও অনেকে কেটেছেন। সব মিলিয়ে রোববার সারাদিনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ট্রেনে করে ঢাকা ছাড়ার কথা।
অন্যদিকে লম্বা ছুটি থাকায় এবার সড়কপথের ঈদযাত্রাও রয়েছে স্বস্তিতে। এখন পর্যন্ত মহাসড়কগুলোর কোনো পয়েন্টে তীব্র যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/এসএ/এসএমএন