Thursday 05 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের আগে মার্কেট ফাঁকা, হতাশ ব্যবসায়ীরা


২ জুন ২০১৯ ১৭:২০ | আপডেট: ২ জুন ২০১৯ ১৭:২৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ঈদের বাকি আর ২ বা ৩ দিন। এই সময়ে যেখানে নতুন পোশাক কিনতে শপিং সেন্টারগুলোতে ভিড় থাকার কথা সেখানে এক প্রকার ক্রেতা শূন্যই দেখা গেছে। ফলে, ঈদের আগে জমজমাট বিকিকিনির পরিবর্তে হতাশ ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২ জুন) রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকান ক্রেতা শূন্য। আর কিছু দোকানে ক্রেতা থাকলেও বিকিকিনি কম।

বিভিন্ন শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা রয়েছেন। বরং বিক্রেতার সংখ্যা ক্রেতার চেয়ে কয়েকগুণ। শপিং করতে আসা সরকারি চাকরিজীবি রাবেয়া খানম সারাবাংলাকে বলেন, এমন ফাঁকা মার্কেট পাব সেটা কখনো ভাবিনি। দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে। তাই, দেখে শুনে পছন্দ মতো পোশাক কিনতে পারছি।

বিজ্ঞাপন

ইনফিনিটি শোরুমের সেলস ম্যানেজার রাশেদুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ঈদের লম্বা ছুটি হওয়ায় অধিকাংশ রাজধানীবাসী ঢাকা ছেড়েছে। আর তারা ঢাকা ছেড়ে নাড়ির টানে ঘরমুখো হওয়ায় ক্রেতা শূন্য হয়েছে দোকানগুলো। তবে, তিনি এটাও বলছেন, ঈদের আগের দিন তথা চাঁদ রাতে শপিং সেন্টারগুলোতে ভিড় বাড়বে। কেননা স্থানীয় যারা রয়েছেন তারা অবশ্যই মার্কেটে আসবেন।

বিকিকিনি কেমন হচ্ছে এমন প্রশ্নে লা রিভের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জামাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, এই মুহূর্তে আশানুরূপ কেনাবেচা নেই। আমরা আশা করেছিলাম শেষ মুহূর্তে বিকিকিনি ভালো হবে। তবে, এভাবে ফাঁকা শূন্য থাকবে তা ভাবিনি। আমরা এমন দৃশ্যে হতাশ হচ্ছি। তবে, শেষের দিকে অর্থাৎ পরশু থেকে বিকিকিনি বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

ব্রান্ডের বেশিরভাগ দোকান ক্রেতাশূন্য হলেও আড়ংয়ে গিয়ে কিছুটা ক্রেতার দেখা মিলেছে। আড়ংয়ে ছোট, বড় সবার জন্য এক ছাদের নিচে বাহারী পোশাক রয়েছে। তাই, আভিজাত্য ও সৌখিনদের একটু বেশিই পছন্দ আড়ং।

আড়ংয়ের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মিতা সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের শো-রুমে ২শ টাকা থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকারও পণ্য রয়েছে। দেশীয় সংষ্কৃতিকে ধারণ করেই আমরা আমাদের আউটলেটগুলো সাজাই। এছাড়া, আমাদের মাথায় থাকে সবসময় ক্রেতা চাহিদা পূরণের। তবে, এই মুহূর্তে যেখানে শপ কানায় কানায় পূর্ণ থাকার কথা সেখানে মোটামুটি ক্রেতা সংখ্যা দিয়ে ভালো বিকিকিনি হচ্ছে বলতে পারি না। বলতে পারেন এক প্রকার হতাশ।

শোরুমটিতে কথা হয় ব্যবসায়ী আকবরের সঙ্গে তিনি জানান, আড়ং আমার পছন্দের সেরা। কেননা এখানে পরিবার থেকে শুরু করে সবকিছু এক জায়গায় পাওয়া যায়। তাই, অন্যান্য দোকান আর ঘুরতে হয় না। এছাড়া, পণ্যের দামও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা হয়। সেজন্য আড়ংয়ে আসা। একই সঙ্গে দেশীয় সংষ্কৃতির একটা বাহন রয়েছে আড়ংয়ে।

এদিকে, যমুনা ফিউচার পার্কে অন্যান্য ব্যান্ডগুলোতে ক্রেতার দেখা নেই বললেই চলে।

সারাবাংলা/এসজে/জেএএম

ঈদ শপিং কেনাবেচা মার্কেট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর