সেমাইয়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়
২ জুন ২০১৯ ২১:০৩
ঢাকা: ঈদের দিন খাবার তালিকার বড় একটা অংশজুড়ে থাকে সেমাই ও পায়েস জাতীয় মিষ্টান্ন। তবে সেমাই ছাড়া যেন ঈদের খাবার-দাবার চিন্তাই করা যায় না। ঈদ আসলে সেমাইয়ের চাহিদাও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ইতোমধ্যে মুদি দোকানগুলোতে সেমাই বিক্রির ভিড় জমতে শুরু করেছে। রোববার (২ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারের আনছার মাঝি স্টোরের মালিক আব্দুস সালাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সেমাইয়ের বেচাকেনা এখন বেশ ভালো। তবে দাম গত বছরের চেয়ে কম। গতবছর শেষ দিকে বাজারে সেমাইয়ের সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে এবার প্রচুর পরিমাণে মজুদ রয়েছে।’
মায়ের দোয়া স্টোরের কর্মচারী বাবলু বলেন, ‘সেমাইসহ ঈদে যেসব পণ্য প্রয়োজন এখন তারই বিক্রি বেশি।সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে সেমাই, চিনি ও দুধ। বেচাকেনাও এবার গতবছরের চেয়ে বেশি।’
এছাড়া আলী স্টোরের কর্মচারী জাকির বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে এখন সেমাইয়ে বেচাকেনা কম। কারণ এরইমধ্যে অনেকে গ্রামে চলে গেছে। যারা ঢাকায় ঈদ করবেন তাদের অনেকেই চাঁদরাতে সেমাই কিনতে আসেন।’
প্রকারভেদে আলাউদ্দিনের লাচ্চি ১২০ থেকে ২০০ টাকা প্যাকেট, আলিমিয়া ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বম্বে (৮০০ গ্রাম) ২০০ টাকা, বনফুল (২০০ গ্রাম) ৩০ টাকা ও কুলসন (২০০ গ্রাম) ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর কেজি প্রতি সাদা রংয়ের খোলা লাচ্ছা সেমাই ১০০ টাকা ও লাল রংয়ের ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাংলা ডায়মন্ডের বাংলা সেমাই ৭০ টাকা, কুনসন সেমাই ৩০ টাকা ও খোলা সেমাই প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেমাই তৈরির প্রধান উপকরণ চিনি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি ও দুধ প্রতি লিটার ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গুঁড়া দুধ ডেনিম ৪০০ গ্রামের প্যাকেট ১৯০ টাকা ও মার্কস ৫০০ গ্রাম ২৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
তবে সেমাইয়ের অন্য উপকরণ কিচমিচ, এলাচি, দারুচিনি ও বাদামের দাম কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই