এবার ঈদগাহে প্রবেশে তিন দফা তল্লাশি
৩ জুন ২০১৯ ১৩:২৯
ঢাকা: ঈদের জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি জানান, এবার ঈদ জামাতে প্রবেশের আগে মুসল্লিদের তিন দফায় তল্লাশি করা হবে। একইসঙ্গে কেউ সন্দেহজনক কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।
সোমবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ঈদের জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। ঈদ জামাতকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি। এরমধ্যে পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ, সোয়াত, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। এরমধ্য দিয়েই মুসল্লিদের ঈদ জামাতে প্রবেশ করতে হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, ঈদ জামাত উপলক্ষে আমরা গত এক সপ্তাহ থেকে ঢাকা শহরে চেকপোস্ট ও ব্লকরেডসহ নানাবিধ কাজ করে আসছি। নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা যেভাবে নিরাপত্তার ছক করেছিলাম সেই নিরাপত্তা ছক অনুযায়ী পুরো রমজান মাস জুড়ে কাজ করা হচ্ছে। তাই এখন পর্যন্ত বলার মতো বা উল্লেখ করার মতো বড় কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা শহরে জাতীয় ঈদ জামাত বাদেও অন্তত আরও কয়েক শ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেগুলোতেও সাধ্য মতো নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করবো। কোথাও কোথাও আর্চওয়ে না থাকলেও ফিজিক্যালি সার্চিং করা হবে। সেক্ষেত্রে নাগরিকদের পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানান কমিশনার।
এছাড়া, নাগরিকরাও যাতে সচেতন থাকে। কোথাও কিছু দেখলে তা যেন পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ট্রিপল নাইন ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের অবহিত করেন। অতীতের নিরাপত্তার কথা আলোকেই এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান কমিশনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদ জামাতে মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা সাথে নিয়ে আসতে পারবেন। এর বাইরে কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে আসা যাবে না। দাহ্য পদার্থ থেকে শুরু করে ব্যাগ, ছুরি কাচি, ব্লেড সাথে রাখা যাবে না।
ঈদ জামাতে প্রবেশে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জিরো পয়েন্ট, কর্মচারি হাসপাতাল মোড়, মৎস্য ভবন মোড় ও পল্টন মোড়ে ব্যারিকেড থাকবে। এসব রাস্তা দিয়ে ঈদগাহের দিকে পায়ে হেটে আসতে হবে। কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারবে না বলে জানান কমিশনার।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সুস্পষ্টভাবে নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই। আমরা রাতদিন কাজ করছি। নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় হামলার পর বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা হুমকির যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সব সময় একটি গোষ্ঠী ভীতি সঞ্চার করার জন্য তৎপর রয়েছে। আমরাও সকল গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি।
সম্প্রতি পুলিশের ওপর হামলা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গুলিস্তান ও খিলগাঁওয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে যে হামলা চালানো হয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ যোগাড় করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজসহ ফিজিক্যাল ইভিডেন্স সংগ্রহ করা হয়েছে। সিটিটিসির চৌকস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তদন্ত করছে।
দুই একজন পুলিশের ওপর এরকম চোরাগোপ্তা হামলা করে সোয়া দুই লাখ পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে না বলেও জানান কমিশনার।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএইচ