Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এ কে খন্দকারকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে’


৩ জুন ২০১৯ ১৩:৫৪

ঢাকা: ‘১৯৭১ ভেতরে বাহিরে’ বইয়ের লেখক এ কে খন্দকারকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

‘১৯৭১ ভেতরে বাহিরে’ বইয়ে অসত্য তথ্য দেওয়ার জন্য সম্প্রতি জাতির কাছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার কাছে ক্ষমা চান এই বইয়ের লেখক মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার।

এই ক্ষমা চাওয়ার পেছনে সরকারের চাপ ছিল— এমন ইঙ্গিত করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সত্য ও ইতিহাস এখন বাকশালী হুকুমের কাছে বন্দি। আওয়ামী ম্যানুফ্যাকচার্ড ইতিহাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সেই লেখক বা ইতিহাসবিদকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘বই প্রকাশের ৫ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রীকে যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে— সেটি জনগণের কাছে খুবই পরিস্কার। এর আগে কখনো আদালতকে ব্যবহার করে, কখনো গোয়েন্দাদের ব্যবহার করে মুক্তমনের বিবেকবান কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, জীবনী লেখক, ইতিহাসবিদদের ওপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে লিখিত গ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায় পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগারদের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার সত্য ইতিহাস যখন বিভিন্ন লেখকের লেখায় ফুটে ওঠে তখন তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আওয়ামী সরকার লেখকদের নানাভাবে বাধ্য করে ঐ অংশটুকু মুছে ফেলতে।’

ইতিহাসের সত্য উচ্চারণকে ঢেকে রাখা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জবরদস্তিমূলকভাবে ইতিহাস রচনা করলে তা আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হয়। সত্য উচ্চারণের ইতিহাস জানতে জনগণকে সংবৃত করা অসম্ভব। দুর্নীতি, গুম, গুপ্তহত্যা, চাপ ও হুমকির বাতাবরণের মধ্যেও ইতিহাসে সত্য প্রকাশ অবধারিত।’

বিজ্ঞাপন

ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদ হবে এবার’— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক নয়, সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঈদ হবে এবার। কারণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারাবন্দি রাখা হয়েছে, গণতন্ত্রহীন দেশে অশান্তি, প্রতিহিংসা, হানাহানি ও বিচারহীনতার রাজত্ব কায়েম রাখার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের ধারাবাহিকতায় আপসহীন প্রত্যয়দৃঢ়, অকপট ও প্রতিবাদী দেশনেত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্যই বন্দি করে রাখা হয়েছে চিরস্থায়ী জমিদারী শাসন কায়েমের জন্য।’

এই পরিস্থিতিতে দেশ এখন চরম নৈরাজ্যজনক অবস্থার মধ্যে নিপতিত। তাই বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই। ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকের ঘরে কোনো ঈদ আনন্দ নেই। মানুষের পকেটে টাকা না থাকায় মার্কেটগুলো প্রায় ফাঁকা। বেচাকেনা নেই। সুতরাং ব্যবসায়ীদের মনেও ঈদের আনন্দ নেই’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।

সারাবাংলা/এজেড/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর