বুথ ‘আউট অব সার্ভিস’, ভোগান্তিতে ডাচ-বাংলার গ্রাহকরা
৪ জুন ২০১৯ ২১:৫৭
ঢাকা: এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা। ঈদের বাড়তি চাপ ও বুথ থেকে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর সংকট তীব্র হয়েছে।
ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, বুথগুলো নেটওয়ার্কের বাইরে গিয়ে ‘আউট অব সার্ভিস’ দেখাচ্ছে। আবার কখনো বা একই বুথ থেকে এক গ্রাহক টাকা তুলতে পারলেও, অন্য গ্রাহক তুলতে পারছেন না। সবমিলিয়ে ঈদের এই মৌসুমে বুথ থেকে টাকা তুলতে পারা নিয়ে সংশয় ও ভোগান্তিতে রয়েছেন ডাচ-বাংলার গ্রাহকেরা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে ঢাকার বিভিন্ন এলকার ডাচ-বাংলার বুথ থেকে টাকা তোলা যায়নি। নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, হাতেগোনা কয়েকজন টাকা তুলতে পারলেও অধিকাংশই টাকা তুলতে পারেননি। রাজধানীর মগবাজার, নাবিস্কো, পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর পানির ট্যাংক, ফার্মগেট, শাহবাগ, বাংলামোটরসহ বিভিন্ন এলাকার বুথে যাওয়া গ্রাহকদের কাছ থেকে একই রকম অভিযোগ পাওয়া যায়।
শুধু রাজধানীতেই নয়, ঢাকার বাইরেও একই চিত্র দেখা যায়। নরসিংদীতে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ভুক্তভোগী দেবাশীষ সাহা বলেন, ‘দুপর ২টা পর্যন্ত অনেক মানুষের ভিড় ছিল। গার্ড বলছিল ২টার পর ঠিক হবে। দুপুরের পর ঠিক হলেও ২০ শতাংশ মানুষও টাকা তুলতে পারেননি। শুধু বুথ নয়, বুথের ভেতরেও প্রচণ্ড ভিড় ছিল।’
এদিকে, ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা নেওয়ার ঘটনার পর রাতে এটিএম বুথের সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বুথ বন্ধ রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ বুথ থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে সকাল ৭ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে ফার্স্ট ট্রাক বাদে যেখানে শুধুমাত্র একটি মেশিন রয়েছে সেখান থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে রাত ১০টা পর্যন্ত। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে।
এ ধরনের ঘটনায় গণবিজ্ঞপ্তি ও খুদে বার্তা দিয়ে গ্রাহকদের জানানোর কথা থাকলে ব্যাংকটি তা করেনি। ফলে অনেক গ্রাহক রাতে টাকা তুলতে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়ছেন।
গ্রাহকের অভিযোগ ও ভোগান্তির বিষয়ে জানতে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিনকে একাধিবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এসব বিষয়ে ব্যাংকটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সগীর আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুইদিন ধরে সারাদেশেই ঝামেলা চলছে। নেটওয়ার্কে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আপনারা জানেন, একটি ঘটনার পর আমরা মাঝে আড়াই ঘণ্টা বুথের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলাম। যেহেতু প্রক্রিয়াটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে চলে, নেটওয়ার্কে চলে, অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকে না।’ তারপরও গ্রাহকদের হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ায় চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও