চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে এবার ২৫৮টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১৬৪টি স্থানে এবং কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটি আরও ৯৪টি স্থানে ঈদ জামাতের আয়োজন করেছে।
বরাবরের মতো এবারও চট্টগ্রাম নগরীতে ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাতের আয়োজন করা হয়েছে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এই ঈদ জামাতের আয়োজন করেছে।
সিটি করপোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সকাল ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে প্রথম ও প্রধান জামাত হবে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিসহ প্রতিবছর এই ময়দানে লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে।
এবার প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মুসল্লি জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে আলাদা দু’টি ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মেয়র বলেন, ‘যেহেতু বর্ষা ঘনিয়ে এসেছে, আমরা বৃষ্টি হবে এটা মাথায় রেখেই ঈদুল ফিতরের জামাতের ব্যবস্থা করেছি। জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। নিচে পাকা ফ্লোর থাকায় যত বৃষ্টিই হোক না কেন, নামাজ আদায়ে কোনো সমস্যা হবে না। প্রথম জামাতে লাখের বেশি মুসল্লীর সমাগম হবে বলে আশা করছি। দু’টি জামাত মিলে দেড়-দুই লাখের কম হবে না।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, দু’টি ওয়াচ টাওয়ার ও ২২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে। তিনটি প্রবেশপথ দিয়ে চেকপোস্টে তল্লাশির পর মুসল্লিরা জামাতে ঢুকতে পারবেন। জায়নামাজ ও বৃষ্টি হলে ছাতা ছাড়া আর কিছু বহন না করার জন্য মুসল্লিদের অনুরোধ করা হয়েছে।
নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, লালদিঘী মসজিদ, দামপাড়া পুলিশ লাইন মসজিদসহ আরও কয়েকটি স্থানে ঈদ জামাতে ব্যাপক মুসল্লির সমাগম ঘটে।
জমিয়াতুল ফালাহসহ নগরীর ৩৪টি বড় ঈদ জামাতকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। সিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, প্রতিটি ঈদ জামাতে থানা থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আর বিশেষ জামাতগুলোকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। নিয়মিত পুলিশ ছাড়াও সোয়াট, বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটসহ বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে নগরীতে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলা সদরে এবং গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকে এবার আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। ঈদের দিন থেকে পরবর্তীতে ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো সময় সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’
সারাবাংলা/আরডি/টিআর