নামাজে মুসল্লির ঢল, ঈদ উৎসবে চট্টগ্রাম
৫ জুন ২০১৯ ১০:১৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মেঘলা আকাশ। গরমের তীব্রতাও কিছুটা কম। জৈষ্ঠ্যের প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমের পর মোটামুটি স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ার মধ্যে ঈদুল ফিতরের উৎসবে মেতেছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ।
মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ঈদের নামাজে শরিক হয়েছিলেন লাখো মানুষ।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া ছুন্নীয়া আলেয়া মাদ্রাসা চট্টগ্রামের মুহাদ্দিছ আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরি। একই স্থানে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় ঈদ জামাত।
প্রথম জামাতে এবারও যথারীতি নামাজ আদায়ে এক কাতারে শরিক হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারা। ছিলেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরাও।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মীর মো. নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম জামাতে নামাজে অংশ নেন।
নামাজ শেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর আগে, ঈদের নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান রাজনীতিক এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ প্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে নগরীতে এবার ১৬৪টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির তত্ত্বাবধানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীর ৯৪টি স্থানে।
চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম হলে আয়োজিত ঈদ জামাতে প্রশাসনের সর্বস্তুরের কর্মকতারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
এদিকে, জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানসহ ৩৪টি বড় ঈদ জামাতকে ঘিরে দৃশ্যমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নগর পুলিশ। জমিয়াতুল ফালাহতে ছাতা ও জায়নামাজ নিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এর আগে সিএমপি কমিশনার জানিয়েছিলেন, তিন বছর আগে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের অদূরে জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে এবার চট্টগ্রাম নগরীতে ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে। সুনির্দিষ্টি হুমকি না থাকলেও ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে সিএমপির।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা আলোকায়ন করা হয়েছে। ফয়’স লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো সেজেছে নতুন সাজে।
ছবি: শ্যামল নন্দী
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
ঈদ জামাত চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে ঈদ জামাত মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মীর মো. নাসির উদ্দিন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন