নতুন সাজে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ঈদের দিনে দর্শনার্থীর ভিড়
৫ জুন ২০১৯ ২০:৩৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুনরূপে সাজানো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় ছিল দিনভর। মেঘলা আকাশ বাগড়া দিলেও ঈদের দিনই প্রায় ১১ হাজার দর্শনার্থী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বৃহস্পতিবার প্রায় দ্বিগুণ দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ঈদুল ফিতরের দিন বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে খুলে দেওয়া হয় চিড়িয়াখানার প্রবেশদ্বার। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ছিল দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরির নির্ধারিত সময়। প্রতিটি টিকেটের দাম ধরা হয় ৫০ টাকা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা.শাহাদাৎ হোসেন শুভ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের দিন আমরা ১৪ হাজার টিকেট বিক্রির টার্গেট নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রায় ১১ হাজারের মতো টিকেট বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেও আকাশ মেঘলা। এজন্য দর্শনার্থী কিছুটা কম হয়েছে। তবে আকাশ পরিস্কার থাকলে এবং বৃষ্টি না হলে বৃহস্পতিবার দ্বিগুণ লোক আসবে।’
শুভ জানান, গতবছর ঈদুল ফিতরের দিন আট হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছিল। এবার তিন হাজার দর্শনার্থী প্রথমদিনেই বেড়েছে।
বুধবার চিড়িয়াখানায় বাঘ-সিংহ, জেব্রা আর পাখির খাঁচার সামনে ভিড় দেখা গেছে বেশি। অনেককে চিড়িয়াখানার ভেতরে ঘুরে ফিরে সময় কাটাতে দেখা গেছে। চিড়িয়াখানায় ভেতরে নতুন দেওয়ালচিত্রসহ সামগ্রিক পরিবেশ দর্শনার্থীদের এবার টানছে বেশি।
চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী লেইন থেকে স্ত্রী, ছেলেমেয়ে নিয়ে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যান ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মিঠু। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘চিড়িয়াখানা তো অনেক বদলে গেছে। পাখির অভয়ারণ্য করা হচ্ছে। পক্ষীশালা করা হচ্ছে। দেখে খুব ভালো লাগছে। আমরা চাই সারাবছরই চিড়িয়াখানা এরকম পরিপাটি থাকুক।’
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সীমানা প্রাচীরে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মের পাশাপাশি প্রাণীর খাঁচাগুলোকেও সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে। এতে ভিন্ন রূপ পেয়েছে চিড়িয়াখানা।
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, ভাল্লুকসহ প্রায় ৬৪ প্রজাতির প্রাণী। উটপাখী ও এমু মিলিয়ে এখন প্রাণী প্রজাতির সংখ্যা ৬৬।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ