যেভাবে কেটেছে ঢামেকে ঈদ
৫ জুন ২০১৯ ২১:৫৪
ঢাকা: ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই কর্মব্যস্ততাকে ছুটি। তবে স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি ক্ষেত্রে ঈদ উৎসব কিছুটা ব্যতিক্রম। তাই অপেক্ষাকৃত কম জনবল নিয়ে হলেও ঈদের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ডাক্তার ও সহকারীরা সেবা দিয়েছেন রোগীদের। আবার ভিন্ন ধর্মালম্বীরাও দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ঈদ আনন্দের সুযোগ করে দিয়েছেন সহকর্মীদের। বুধবার (৫ জুন) ঈদের দিন দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে এমনটিই দেখা যায়।
হাসপাতালে ঈদ উদযাপন বিষয়ে অভিজ্ঞতা জানান ঢামেক জরুরি বিভাগের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডের সেবক রাহুল সরকার। তিনি বলেন, ‘ঈদ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের ছুটি দিয়ে নিজেরাই ডিউটি করছি। প্রতিবছরই এরকমই করা হয়। আমাদের কোনো অনুষ্ঠান হলে তখন আমরা ছুটি কাটাই। হাসপাতাল তো সবাই এক সাথে ছুটি নেওয়া যায় না।’
জরুরি বিভাগের আরেক সেবক আশিস কুমার ঘোষ বলেন, ‘কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসলে সবারই দায়িত্ব বেড়ে যায়। তখন মুসলমানরা তাদের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। হাসপাতালে আমরা দায়িত্বে থাকি। এটা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। আজকেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিন রোগী একটু কম থাকে। এইজন্য কোনো সমস্যা হয় না।’
তবে ব্যতিক্রম জরুরি বিভাগে কর্মরত এমএলএসএস মো. শহীদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরের মত এবারও ডিউটি করতে হচ্ছে। খারাপ লাগেনা। সবার তো এক সাথে ছুটিতে গেলে হবেনা। তাই কয়েক জন ছুটিতে গেছে।’
এদিকে দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহা-পরিচালক ডা. শমির কান্তি সরকার। তিনি বলেন, ‘বৃহৎ এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক। ঈদের ছুটি থাকা সত্ত্বেও যে ডাক্তার নার্স ওয়ার্ড বয় আছে তা যথেষ্ট। রোগীদের সেবার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না।’
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, নিউরো-সার্জারি ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অসিত চন্দ্র সরকার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম। অধ্যাপক অসিতচন্দ্র সরকার বলেন, ‘যথেষ্ট চিকিৎসক, নার্স রয়েছে। তবুও মন মানে না। প্রতিদিন রাউন্ড দেই। সুযোগ পেয়ে আজকেও রোগীদের দেখতে এলাম।’
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের আগে আমরা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে। ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে ডাক্তার, নার্স পর্যাপ্ত রয়েছে। হাসপাতালের সব অস্ত্রোপচার কক্ষেই স্বাভাবিক নিয়মে অস্ত্রোপচার চলছে।’
এছাড়া হাসপাতাল নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্যরা আছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসএসআর/এনএইচ