Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে স্থবিরতা


৬ জুন ২০১৯ ১৪:২৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঈদুল ফিতরের বন্ধের মধ্যে কিছুটা ধীরগতিতে চলছে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন জেটিতে জাহাজে কন্টেইনার উঠানামা। বন্দরের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও পরিবহন সংকটে আমদানি পণ্য খালাসে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এতে বন্দরে ও বিভিন্ন বেসরকারি ডিপোতে কন্টেইনার জটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে রফতানি পণ্যবোঝাই পরিবহনের বন্দরে প্রবেশ এবং কন্টেইনার জাহাজীকরণ স্বাভাবিক আছে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো বুধবার (০৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আটঘন্টা বন্ধ ছিল জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামাসহ বন্দরের সব কার্যক্রম। সন্ধ্যার পর বন্দর চালু হলেও কার্যত রাতে কাজ তেমন হয়নি বলে বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তবে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বন্দরের কাজ পুরোদমে চালু হয়েছে। খালাস কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ডের পাশাপাশি অফ-ডকেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু সিএন্ডএফ এজেন্টরা যোগ না দেওয়ায় এবং পরিবহন না থাকায় আমদানি পণ্য খালাস প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১৬টি জাহাজ জেটিতে নোঙ্গর করেছে। এর মধ্যে ১১টি জাহাজ আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দরে এসেছে। ৫টি জাহাজ রফতানি পণ্যবোঝাই কন্টেইনার নেওয়ার জন্য এসেছে।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বন্দরে কাজ শুরু হয়েছে মূলত আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টার শিফট থেকে। ১৬টি জাহাজেই কন্টেইনার উঠানামা প্রায় স্বাভাবিক আছে। যেহেতু শ্রমিক কম, ধীরগতি একটু থাকবেই। কন্টেইনার অফ-ডকেও আমরা পাঠাচ্ছি। তবে সমস্যা হয়েছে- মহাসড়কে বড় যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। সেজন্য আমদানি পণ্য খালাস হচ্ছে না। তবে এক্সপোর্টের পণ্য ও কন্টেইনার নিয়ে গাড়ি বন্দরে স্বাভাবিকভাবেই আসছে।’

বিজ্ঞাপন

ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে তিনদিন ও পরে তিনদিন মোট ছয়দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবোঝাই ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে রফতানি পণ্যবোঝাই গাড়ির উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

চলতি সপ্তাহের সোমবার (০৩ জুন) ছাড়া পুরো সপ্তাজুড়েই নিয়মিত বন্ধ, শবে কদর ও ঈদের ছুটি চলছে। এই ছুটি শেষ হবে আগামী রোববার।

টানা ছুটিতে জাহাজ ও কন্টেইনার জটের আশঙ্কা করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এই সময়ের মধ্যে শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং পরিবহন কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রম চালু রাখার অনুরোধ করে চিঠি দেয়।

তবে শ্রমিক সংকটের কারণে আমদানি পণ্য খালাস অব্যাহত রাখা যায়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস-সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাংস্কৃতিক, শ্রম ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শিহাব চৌধুরী বিপ্লব।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ। শ্রমিকরা ছুটিতে গেছে। আমরা চাইলেও আমদানি পণ্য খালাস করতে পারছি না। কারখানাগুলোও বন্ধ। পণ্য খালাস করে আমরা নেব কোথায় ?’

এদিকে অফ-ডকের পাশাপাশি খালাস করা কনটেইনার জমে যাচ্ছে বন্দরের ইয়ার্ডেও। বন্দরের পরিচালক এনামুল করিম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে একসঙ্গে ৪৯ হাজার টিইইউস কনটেইনার রাখা সম্ভব। এখন প্রায় ৩৮ হাজারের মতো কন্টেইনার আছে।

আগামী সপ্তাহজুড়েও কন্টেইনার খালাসে ধীরগতি থাকবে জানিয়ে এনামুল করিম বলেন, ‘এতে কন্টেইনার জট তৈরি হতে পারে।’

সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ

আমদানি চট্টগ্রাম বন্দর স্থবিরতা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর