দূষিত বুড়িগঙ্গায়, পরিত্যক্ত জেটি: তবু মানুষের ভিড়
৬ জুন ২০১৯ ২০:২৪
ঢাকা: ময়লা-আবর্জনায় কালো হয়েছে বুড়িগঙ্গার পানি। আশেপাশের বায়ুও বিষাক্ত। তবু ঈদের অবকাশে কিছু মানুষ ভিড় করেছে নদীর পাড়ে, পরিত্যক্ত জেটিতে। নদীর পানির দুর্গন্ধও তাদের খুব একটা ভাবাচ্ছে না। নারী, পুরুষ, শিশু ও বয়স্ক সবাই এসেছে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের দৃশ্য দেখতে। দেখছে সূর্যাস্তের সৌন্দর্যও। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় মিল-ব্যারাক সংলগ্ন গেণ্ডারিয়া জেটি ঘাটে এমনটাই দেখা যায়।
জেটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা তাবাসসুম সিনথিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখানে আসলে মনটা ভালো হয়ে যায়। একের পর এক নদী দিয়ে লঞ্চ আর স্টিমার যাচ্ছে। পশ্চিম আকাশে সূর্যাস্ত দেখা যায়, পূর্ব দিকে দিগন্ত জোড়া আকাশ দেখা যায়। অনেক লোক আসে, বাচ্চারা দৌড়াতে পারে, সব মিলিয়ে ভালো লাগে।’
তবে এখানে ঝুঁকি আছে বলেও জানান ঘুরতে আসা মুনিরা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘পুরো জেটির চারদিকে দেয়াল দেওয়া নাই। ফলে যেকোনো সময় কেউ নদীতে পড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চারা।’
ঘুরতে আসা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘জেটিটিকে পরিকল্পিতভাবে বিনোদন মুখর করা যেত তাহলে সাধারণ মানুষের আরও বেশি উপকৃত হতো।’
জেটিতে উপস্থিত গেণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, ‘জেটিতে লোকজন বেড়াতে আসে। আমরা সবসময় নজরদারিতে রাখি কখন কি ঘটে। এটা পুরোপুরি নিরাপদ নয় কারণ জেটির চারদিকে পানি। নিরাপদ বেষ্টনী দেওয়া নাই। কাজেই যারা আসে তাদের সাবধান থাকতে বলা হয়।’
জানা যায়, সদরঘাটের অদূরে মিল ব্যারাকের পাশে বুড়িগঙ্গা নদীর ধার ঘেঁষে ১৯৯০ সাল পণ্য খালাসের জন্য একটি ছোট্ট জেটি নির্মাণ করা হয়। কালের বিবর্তনে জেটি দিয়ে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। জেটির দক্ষিণ পাশে কেরানীগঞ্জ, পশ্চিমে সদরঘাট টার্মিনাল উত্তরে নীল ব্যারাক পুলিশ লাইন, পূর্বে পোস্তগোলা ব্রিজ। উৎসবগুলোতে পুরান ঢাকার লোকজন এখানে বেড়াতে আসে।
মাঝে কিছুদিন অবৈধভাবে ট্রাক স্ট্যান্ড তৈরি করে প্রভাবশালীরা জেটিটি দখলে রাখলেও মেয়রের নির্দেশনায় ট্রাক স্ট্যান্ড তুলে দেওয়া হয়। প্রবেশপথে এমনভাবে দেয়াল নির্মাণ করা হয় যে, লোকজন ছাড়া কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএইচ