শুক্রবার দায়িত্ব ছাড়ছেন টেরিজা মে
৭ জুন ২০১৯ ১৮:১২
কনজারভেটিভ পার্টির দলনেতা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন টেরিজা মে। গত ২৪ মে’র সেই ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবারই (৭ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করছেন তিনি। খবর বিবিসির।
প্রায় তিন বছর আগে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ওয়াদা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করলেও মে’কে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে ব্রেক্সিট চুক্তির বাস্তবায়ন না দেখেই। এদিকে টেরিজার স্থলাভিষিক্ত কে হবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। যুক্তরাজ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আছেন ফরেইন জেরেমি হান্ট, সাবেক ফরেইন সেক্রেটারি বরিস জনসন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি রোরি স্টুয়ার্ট, সাবেক ওয়ার্ক ও পেনশন সেক্রেটারি ইস্টার ম্যাকভেসহ মোট ১১ জন। তবে নতুন কেউ দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত মে’ই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অস্থায়ীভাবে পালন করবেন। আগামী ২২ জুলাই কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্ব ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে টেরিজা মে বলেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করবেন না। তবে কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা টেরিজাকে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পীড়াপীড়ি করতে থাকেন। নতুন ঘোষণায় ইইউ ও যুক্তরাজ্য সম্মত হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর হবে।
টেরিজা মে তার বিদায়ী ভাষণে আশা জানান, যুক্তরাজ্যের ভালোর জন্য নেতৃত্বে পরিবর্তন প্রয়োজন। ব্রেক্সিট বিষয়ে গণভোটের সম্মান রক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ব্রেক্সিট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে না পারা তার জন্য হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট জটিলতায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের পর ২০১৬ সালে তার স্থলাভিষিক্ত হন টেরিজা মে। টেরিজা মে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্যামেরনের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
সারাবাংলা/এনএইচ